অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: তরুণীকে ধর্ষণ (Rape) করে খুনের অভিযোগ। কাঠগড়ায় ভাড়াটে রাজমিস্ত্রি। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাড়াগড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। তার খোঁজে শুরু জোর তল্লাশি। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা (Debra) ব্লকের বাড়াগড়ের বাসিন্দা ওই তরুণী। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়লেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। পরিবারের লোকজন তাঁকে ডাকতে যান। তাঁরা দেখেন ওই তরুণী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর হাতে, গায়ে এবং গলায় ক্ষতচিহ্ন। খবর দেওয়া হয় ডেবরা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
[আরও পড়ুন: জমায়েত হঠাতে পুলিশের তাড়া, পালাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু, উত্তপ্ত পাতিপুকুর]
কয়েকমাস ধরে ডেবরার একটি বহুতল আবাসন তৈরির কাজ চলছিল। মুর্শিদাবাদ থেকে আসা চারজন মিস্ত্রি ওই তরুণীর বাড়িতেই ভাড়া থাকত। তবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সর্বেশ্বর প্রামাণিক নামে এক রাজমিস্ত্রি ফেরার। ওই রাজমিস্ত্রি তরুণীকে ধর্ষণের পর খুন করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কীভাবে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে তা বলা সম্ভব নয় বলেই দাবি পুলিশের। এই ঘটনায় বাকি তিন রাজমিস্ত্রিকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ মার্চ এগারো বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া এলাকায়। উপহারের লোভ দেখিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা আপাতত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ভরতি। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে তাঁর যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। নির্যাতিতা সংকটজনক অবস্থায় এইচডিইউতে (HDU) ভরতি। তার চিকিৎসার স্বার্থে গঠিত হয়েছে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ দু’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ২৭ মার্চ মালদহে দশম শ্রেণির ছাত্রীর মুখ-হাত বেঁধে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়।