জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামীর উপর হামলা, এলোপাথাড়ি কোপ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। আহত হয়েছে অভিযুক্ত যুবক অর্থাৎ আক্রান্তের স্ত্রীর প্রথম স্বামীও। অভিযুক্ত ও আক্রান্ত দুজনেই ভরতি হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সুকান্ত ভদ্র। হাবরা থানার গোয়ালবাটি এলাকার বাসিন্দা তিনি। আট বছর আগে রিংকু ভদ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল সংসার। অভিযোগ, কিছুদিন আগে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রিংকু। প্রথমে বিষয়টা গোপন থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেইে সুকান্ত জেনে যায়। স্বাভাভিকভাবেই তারপরই শুরু হয় অশান্তি। মাস তিনেক আগে স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের কাছে চলে যান রিংকু। গাইঘাটা থানার কাড়লা শালবাগান এলাকায় নতুন সংসার পাতেন।
[আরও পড়ুন: পুজোয় জনসংযোগে সাফল্য! পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় সিপিএমের স্টলে বাড়ল বই বিক্রি]
বিষয়টা একেবারেই মেনে নিতে পারেনি সুকান্ত। মনের মধ্যে জমেছিল ক্ষোভ। যার জেরেই ভয়ংকর কাণ্ড। সূত্রের খবর, শনিবার রাত আটটা নাগাদ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিশ্বজিতের বাড়িতে হাজির হয় সুকান্ত। বিশ্বজিৎ বের হতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। বিশ্বজিতের মাথা, ঘাড়, হাত কোপ লাগে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে সুকান্তকে ধরে ফেলে। এরপরই শুরু হয় গণধোলাই৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিশ। তাঁরাই গিয়ে সুকান্তকে উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে অনুমান, স্ত্রীর উপর রাগের বশেই এই কাণ্ড। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাস্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।