দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শুক্রবার সকালেই গুজরাটের আহমেদাবাদে কর্মরত ছেলের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছেছে হুগলির উত্তরপাড়ার বাড়িতে। কিছুক্ষণ পর জানা গিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিমানে দেহ আনার অনুমতিও মেলেনি। তবে কী ছেলেকে শেষবারের মতোও দেখতে পাব না? এই প্রশ্ন নিয়েই চোখের জল ফেলছেন হুগলির শ্যাম পরিবার।
জানা গিয়েছে, হুগলির উত্তরপাড়ার ঘড়িবাড়ি আবাসনের বাসিন্দা বছর ৩৮-এর গৈরিক শ্যাম। উত্তরপাড়া ভদ্রকালী হাইস্কুলের কৃতী ছাত্র ছিলেন তিনি। পড়াশোনা শেষে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আহমেদাবাদে একটি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন গৈরিক। জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে আহমেদাবাদে ফ্ল্যাটের সামনেই স্কুটি দুর্ঘটনায় মাথায় মারাত্মক আঘাত পান ওই যুবক। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করেন। খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থেকে আহমেদাবাদ ছুটে যান গৈরিকের বাবা গৌতম শ্যাম ও জামাইবাবু। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, একটু স্থিতিশীল হলেই গৈরিককে নিয়ে আসা হবে কলকাতায়। কিন্তু সেই সুযোগই মিলল না।
[আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জাতিবিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ, গ্রেপ্তার মালবাজারের বিজেপি নেতা]
শুক্রবার সকালে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন গৈরিক। এরপর বিমানে তাঁর দেহ ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন পরিবারের সদস্যরা। করোনার কারণে খারিজ হয়ে যায় তাঁদের আবেদন। এই খবর বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের মা ও পরিজন না। যুবকের মা ক্রমাগত একটাই আক্ষেপ করে চলেছেন, “ছেলেটাকে শেষ দেখা দেখতে পেলাম না। আমার ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমাকে একা রেখে চলে গেল। আমাকে একবার ছেলের কাছে নিয়ে চলো।” শোকের ছায়া এলাকায়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে সক্রিয় Honey Trap! পর্দাফাঁস করতে মহিলা জঙ্গি তানিয়াকে হেফাজতে চাইছে এনআইএ]
The post দূরত্ব বাড়াল করোনা, আহমেদাবাদে মৃত ছেলেকে শেষ দেখা হল না মায়ের appeared first on Sangbad Pratidin.
