বাবুল হক, মালদহ: ভরদুপুরে ভয়ংকর কাণ্ড। বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী যুবক। দেহের পাশে মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল কালিয়াচকের শ্রীরামপুর এলাকায়। রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ওই যুবক আগ্নেয়াস্ত্র পেল কী করে? কেনই বা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সামিউল ইসলাম। তাঁর বয়স ১৮ বছর। মালদহের কালিয়াচকের শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ওই যুবক। এদিন বাড়িতে একাই ছিলেন যুবক। সূত্রের খবর, দুপুরে আচমকা ছাদে উঠে পড়েন তিনি। এর পরই বিকট শব্দ পান প্রতিবেশীরা। পরে বাড়ির ছাদে মেলে যুবকের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। দেহ উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
কিন্তু কেন এই ঘটনা? সূত্রে খবর, প্রায় ন'মাস আগে বাইক দুর্ঘটনায় সামিউলের মাথায় চোট লাগে। তার পর থেকেই ওই যুবক মাঝেমধ্যেই অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চোখে চোখেই রাখতেন। কিন্তু তারই মাঝে এই কাণ্ড। এই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ওই যুবক কোথা থেকে, কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন? এর সঙ্গে আর কার যোগ রয়েছে? কেনই বা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত? দ্রুতই তা স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী পুলিশ