shono
Advertisement

Breaking News

বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু ৩০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের ইন্টারভিউ, বিক্ষোভ এবিভিপি’র

২৪ মার্চ অধ্যাপক নিয়োগের বিতর্কিত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
Posted: 08:13 PM Apr 04, 2023Updated: 08:13 PM Apr 04, 2023

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বিতর্কের মধ্যেই বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bankura University) ৩০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের ইন্টারভিউ শুরু হল। মঙ্গলবার ওই ইন্টারভিউ শুরু হতেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সামান্য পারিশ্রমিকে অস্থায়ী অধ্যাপক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা এবিভিপির সমর্থকরা।

Advertisement

গত ২৪ মার্চ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে অস্থায়ী ভাবে চারজন বিশেষ অধ্যাপক নিয়োগ করা হবে। ওই পদের যোগ্যতামান পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। প্রার্থীকে অবশ্যই নেট কোয়ালিফায়েড হতে হবে অথবা পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে। ‘স্পেশাল লেকচারার’কে সপ্তাহে সর্বাধিক চারটি ক্লাস নিতে হবে। পারিশ্রমিক দেওয়া হবে ক্লাস পিছু হবে ৩০০ টাকা।

[আরও পড়ুন: গাড়ি কেনাবেচা হলেও বদলানো হচ্ছে না মালিকের নাম! অনায়াসেই লুকানো যাচ্ছে অপরাধ]

ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী একজন অস্থায়ী অধ্যাপককে যেখানে ক্লাস পিছু কমপক্ষে দেড় হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা, সেখানে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন বিজ্ঞপ্তিতে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। যদিও সমালোচনার মুখে পড়েও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল বিশ্ববিদ্যালয়। পূর্ব প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার শুরু হয় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, ইন্টারভিউয়ে খুব কম সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী হাজির হন। অন্যদিকে এই বিষয়ে মুখ খোলেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যখন ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলছে, তখনই নিয়োগ বন্ধ ও পূর্ব প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবিভিপি সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি বিজ্ঞপ্তি বাতিল না করা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

[আরও পড়ুন: বোনের শ্রাদ্ধের দিনই দুর্ঘটনায় মৃত্যু দাদার! খুনের অভিযোগ তুলে থানায় পরিবার]

এই বিষয়ে এবিভিপি-র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুমন পাত্র বলেন, “এর আগে সিভিক পুলিশ দিয়ে প্রাইমারিতে পড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। এখন ৩০০ টাকার বিনিময়ে অস্থায়ী অধ্যাপক নিয়োগ করা হচ্ছে। শিক্ষক সমাজের অপমান। শিক্ষার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে রাজ্যে।” পরীক্ষা দিতে আসা এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “দশ-এগারো জন এসেছেন ইন্টারভিউতে। চাকরি পাচ্ছি না। চারদিকে যা পরিস্থিতি তাতে এখন যা পাচ্ছি তাই চলুক।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement