shono
Advertisement

‘TMC নেতা আমায় ফাঁসাচ্ছে’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বাঁকুড়া শিশুপাচারে অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের

অভিযুক্ত তিনজনকে ৫ দিনের হেফাজতে নিল সিআইডি।
Posted: 03:24 PM Jul 24, 2021Updated: 04:54 PM Jul 24, 2021

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার (Bankura) স্কুল থেকে শিশুপাচার কাণ্ডের এবার নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতার। মূল অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল কে কে রাজোরিয়া, সতীশ কুমারদের সিআইডি (CID) হেফাজতে নেওয়ার পর তারা এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে। পুলিশ জিপ থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাদের অভিযোগ, ”এই ঘটনা সাজানো। এমন কিছুতে জড়িত নই। TMC নেতা আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। সংবাদমাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছেন।” শনিবার ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্ত কে কে রাজোরিয়া, সতীশ কুমার এবং স্বপনকুমা দত্তকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে ৫ দিনেক জন্য নিজেজদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। এর আগে তারা ছিল পুলিশ হেফাজতে।

Advertisement

ফের হোম থেকে শিশুপাচার (Child Trafficking) কাণ্ডে মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য। এবং তার নেপথ্যে এক স্কুলের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের যোগ থাকায় বিষয়টি আরও স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। তারা গ্রেপ্তারও হয়েছে এর মধ্যে। জেলা পুলিশ যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে। তবে শিশুপাচারের মতো কেলেঙ্কারির দ্রুত কিনারা করে দোষীদের গ্রেপ্তারির জন্য বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে। শুক্রবার দায়িত্ব নিয়েই তদন্তে নেমেছেন সিআইডি আধিকারিকরা।ওইদিন বাঁকুড়ার কালাপাথর এলাকায় গিয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা ধৃতদের জেরা করা হয়েছে। আর শনিবার তাদের আদালতে পেশ করে সিআইডি নিজেদের হেফাজতে নিল। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে দ্রুত কেলেঙ্কারির জট খোলার চেষ্টায় মরিয়া সিআইডি আধিকারিকরা। তারই মধ্যে এই কাণ্ডে অভিযুক্তরা দায় চাপালেন স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতির উপর।

[আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার গৃহবধূর দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের]

এদিন লকআপ থেকে বেরিয়ে পুলিশের ভ্যান থেকে কে কে রাজোরিয়া এবং সতীশ কুমার বাঁকুড়া ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ বাউড়ির নাম নিলেন। বললেন, সন্দীপ বারবার ফোন করে তাঁদের কাছ থেকে নানাবিধ দাবি আদায়ের চেষ্টা করতেন। কিন্তু তাতে প্রিন্সিপাল রাজোরিয়া রাজি না হওয়ায় এভাবে চক্রান্ত করা হয়েছে স্কুলের বিরুদ্ধে। সাজানো ঘটনা সবটাই। বছর কয়েক আগে জলপাইগুড়িতে একই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন স্থানীয় এক বিজেপি নেত্রী। নাম জড়িয়েছিল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়েরও। আর এবার তৃণমূল নেতার নাম জড়াল। শিশুপাচারের মতো ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবিও উঠছে। শনিবার সিআইডি-র আরেক তদন্তকারী দল কালাপাথরের স্কুলটিতে গিয়ে অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষিকাদের জেরা করেন।

[আরও পড়ুন: ফের রাজ্যে বেআইনি Covid Vaccine ক্যাম্পের পর্দাফাঁস, গ্রেপ্তার খোদ স্বাস্থ্যকর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার