রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: কেউ একমাস, কেউ দেড়মাস। দীর্ঘদিন ধরে রেশন সামগ্রী পাননি গ্রাহকরা। লাইন দাঁড়িয়ে মিলেছে শুধুই স্লিপ। আলিপুরদুয়ার শহরের বকরিবাড়িতে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে দিনের পর দুর্নীতি চালানোর অভিযোগ। অবশেষে সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটল রবিবার। ডিলারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার শহরের বকরিবাড়িতে ২৩ নম্বর রেশন দোকানে দীর্ঘদিন ধরেই রেশন পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি সপ্তাহেই গ্রাহকরা রেশন নিতে সেই দোকানে যান। কিন্তু রেশন দেওয়া হয় না। তাঁর বদলে হাতের আঙুলের ছাপ তুলে নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী গ্রাহকদের স্লিপ দেওয়া হয়। অগত্যা সেই স্লিপ ও খালি ব্যাগ নিয়ে মানুষজন বাড়ি ফিরে যান। কোনও গ্রাহক এক মাস রেশন পাননি। অনেকে আবার দেড়-দুই মাসও রেশন পাননি। কারও কারও ক্ষেত্রে রেশন না পাওয়ার সময় তিন-চার মাসও পেরিয়ে গিয়েছে।
রবিবার গ্রাহকরা রেশন দোকানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের রেশন দিতে হবে। সেই দাবিও তোলা হয়। রেশন ডিলার জনি পালকে ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। কিন্তু কেন রেশন দিচ্ছেন না জনি পাল? সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। কখনও তিনি বলেন, দোকানে রেশনের সামগ্রী নেই। আবার কখনও বলেন, রেশন ডিলার হিসেবে তাঁর মায়ের নাম রয়েছে। মা মাস ছয়েক আগে মারা গিয়েছেন। এখন তিনি এই দোকান চালাতে শুরু করেছেন। দোকানে পুরনো কর্মচারীরা কাজ করতেন। তাঁরা জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন। কয়েক লক্ষ টাকা তাঁর রেশন দোকানে বাকি রয়েছে। তাই জিনিস দিতে পারছেন না।
কিন্তু রেশন দোকানে তো প্রতি মাসে জিনিসপত্র আসার কথা। তাহলে কি সেই জিনিসও আসা বন্ধ রয়েছে? সেই কথার উত্তর দিতে পারেননি জনি পাল। গ্রাহকদের অভিযোগ, জনি রেশনের জিনিসপত্র ঘুরপথে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই অভিযোগের কথা জেলা খাদ্য নিয়ামক সুব্রত নন্দীর কানেও গিয়েছে। তিনি গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।