সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু। হস্টেল থেকে উদ্ধার তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পুরুলিয়ার (Purulia) রামকৃষ্ণ মাহাতো গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র তিনি। ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। জয়পুর থানায় অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন।
ওই ছাত্রের নাম সাগর সাহু। তিনি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানার খামার গ্রামের বাসিন্দা। পুরুলিয়ার রামকৃষ্ণ মাহাতো গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিলেন তিনি। জয়পুর থানা এলাকায় থাকা ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে থাকত ওই ছাত্র। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার সময় অন্য ছাত্র এসে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করেন তিনি। তবে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে সজোরে দরজায় ধাক্কা দেয়। ভিতরে ঢুকে কার্যত অবাক হয়ে যান তিনি। দেখেন, সিলিং ফ্যানের সাথে নাইলন দড়িতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রকে নামিয়ে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: বাড়ির কী অবস্থা? নিজাম প্যালেসে বসে মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা অনুব্রতর]
মৃত ছাত্রের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এই মর্মে জয়পুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় ছাত্ররা বিভিন্নরকম কথা বলছে। কখনো বলছে নিচে মেঝেতে শোওয়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে সাগরকে। আবার কখনও দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বলেই জানায়। তাই খুনের আশঙ্কা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
ওই কলেজের রেজিস্ট্রার রাজেশ দরিপা জানান, ঘটনার দিন সকালেও স্বাভাবিকই ছিল সাগর। তারপর কীভাবে যে এই কাণ্ড ঘটল, তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ অবশ্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।