অর্ণব দাস, বারাকপুর: টিটাগড়ে অটোচালকের 'দাদাগিরি'! রাস্তায় বচসার জেরে পথচারীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে। মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ওই ব্যক্তি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিপদ কেটে যাওয়ার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। খড়দহ থানায় তিনি ওই অটোচালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অটো-সহ আটক করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে টিটাগড়ের বিবেকনগরের বাসিন্দা দীপেন মণ্ডল ছেলেকে টিউশন থেকে নিয়ে ফিরছিলেন। টিটাগড়-খড়দহের মাঝে টাটা গেটের কাছে এক অটোচালকের সঙ্গে আচমকাই বচসা বাঁধে তাঁর। অভিযোগ, তর্কাতর্কি চলাকালীন ওই অটোচালক নিজের গাড়ি থেকে একটি ধারালো অস্ত্র বের করে দীপেনবাবুর মাথায় সজোরে আঘাত করে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় জখম দীপেনবাবুকে খড়দহের বলরাম হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর মাথায় তিনটি সেলাই পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই তিনি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই অটোচালকের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে অটোচালককে আটক করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় অটোটিকেও।
থানা থেকে বেরিয়ে আক্রান্ত দীপেন মণ্ডল জানান, ''ছেলেকে টিউশন থেকে নিয়ে ফিরছিলাম। টাটা গেটের কাছে নতুন একটি নতুন বাম্পার বসানো হয়েছে। এখানে সব গাড়িই ধীরে চলে। তো ওই অটোটিও আস্তে আস্তে বাম্পারের কাছে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। আমি ছেলেকে নিয়ে আসছিলাম। অটোচালককে বললাম, 'দাদা, আপনি একটু এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ান। এখানে কেন দাঁড়ালেন? যাতায়াতের অসুবিধা হবে।' শুরুতেই সে মেজাজ চড়িয়ে বলছে, 'যেখানে ইচ্ছা, দাঁড়াব। আপনি কে বলার? আমি কি এখানে নতুন?' এভাবে একটু কথা কাটাকাটি হতেই অটোচালক সিট খুলে ভিতর থেকে একটা অস্ত্র বের করে আমার উপর আক্রমণ করেন। তখনকার মতো আমি তা ঠেকাই। কিন্তু পরেরবারই পিছন দিকে এসে মাথায় মারে। আমি বুঝতেই পারিনি যে এভাবে হামলা হবে! এতে যে কারও জীবন চলে যেতে পারত।'' এই ঘটনার পর ফের অটোচালকদের দৌরাত্ম্য নিয়ে যাত্রী মহলে ক্ষোভ জমেছে।