রাজা দাস, বালুরঘাট: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির টোপ দিয়ে সাড়ে চার লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় থানায় দারস্থ দম্পতি। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার অন্তর্গত মালাহার গ্রামের বাসিন্দা সইদুর রহমান মণ্ডল। বিএ পাঠরতা মেয়ের পড়াশোনার জন্য, তিনি স্ত্রী বেবি মণ্ডলকে নিয়ে বালুরঘাট শহর সংলগ্ন চকভৃগুতে থাকেন দীর্ঘদিন ধরে। পরিবারের সোনার গহনা ক্রয় করবার খাতিরে বালুরঘাটের একটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় তাঁদের। অভিযোগ, সাধন কর্মকার নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও তার ছেলে সাগর কর্মকারের বিরুদ্ধে।
[সাসপেন্ড দাড়িভিট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পঠনপাঠন চালুর নির্দেশ]
অভিযোগকারী সইদুর রহমান মণ্ডল বলেন, তাঁর মেয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে পরীক্ষা দিয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী তার মেয়ের চাকরি করে দেবেন বলে জানান। মোট ১১ লক্ষ টাকা লাগবে বলে জানিয়েছিলেন। মাস কয়েক আগে আগাম সাড়ে চার লক্ষ টাকা নেন তিনি। চাকরি দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেবেন বলে জানান। সোনার দোকানের মালিক ভেবে ভরসা করেন। দাবি মতো সাড়ে চার লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অগ্রিম। এদিকে মেয়ের চাকরি দিতে পারেননি ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। দিন কয়েক আগে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সাড়ে চারলক্ষ টাকার দাবি করে ওই ব্যবসায়ীর কাছে যান। কিন্তু নানা টালবাহানা করে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এমনকি ওই ব্যক্তি তাঁর মেয়ের যাবতীয় সার্টিফিকেট আটকে রেখেছেন। উপায় না দেখে তাঁরা বালুরঘাট থানায় দারস্থ হয়েছেন। টাকা ও জমা নেওয়া সার্টিফিকেট উদ্ধারের পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন তাদের। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবার এই ব্যাপারে কিছু জানাতে নারাজ। দূর্ব্যবহার করা হয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও।
[রাজ্যে ফের সক্রিয় জেএমবি! চুঁচুড়া থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গি দলের লিংকম্যান]
