অর্ক দে, বর্ধমান: তৃণমূল কর্মীর বাবাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান। তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে বর্ধমান আদালত। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ক্যানসারে আক্রান্ত। উপরন্তু চরম শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। সেই শারীরিক অসুস্থতার কথা মাথায় রেখেই তিন বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত। বাকি ১২ জন দোষীর ১০ বছর কারাদণ্ড।

২০১৭ সালের একটি মামলায় গত সোমবার বর্ধমান-১ ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী তথা বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, রায়ান-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ, বর্ধমান-১ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, রায়ান-১ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শেখ জামাল-সহ ১৩ জন তৃণমূল নেতানেত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
ঘটনার দিন রায়ান-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন তৃণমূল সদস্য জীবন পালের বাবা দেবু পাল আক্রান্ত হন। তাঁকে খুনের চেষ্টা, মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় পুলিশ চার্জশিট দেয় আদালতে। সোমবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। ওইদিন ১৩ জনকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে নেওয়া হয়। কিন্তু সংশোধনাগারে যাওয়ার পথেই কাকলি, মানস, জামাল ও কার্তিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও হন তাঁরা।
মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু এই চারজন ওই দিন আদালতে হাজির না হতে পারায় রায়দান স্থগিত করে দেন বিচারক। পরদিন অর্থাৎ বুধবার কাকলি ছাড়া বাকিরা আদালতে সশরীরে হাজির হন। কাকলি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দেন। সকলের বক্তব্য শোনেন বিচারক। ওইদিনই কাকলির আইনজীবীরা সিআরপিসি ৩৬০ ধারায় কাকলির সাজা মঞ্জুরের আবেদন জানান। বিচারক সেই আবেদন লিখিতভাবে জমা দিতে নির্দেশ দেন। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা মাথায় রেখেই তিন বছরের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক।