সংবাদ প্রতিদন ব্যুরো: বাংলার পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ আটকে পড়েছেন ইউক্রেনে। চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের। তাঁদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী রাজ্য। খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। দায়িত্বে সিনিয়র আইএএস অফিসার ও ডব্লুবিসিএস অফিসাররা। যোগাযোগের জন্য চালু করা হচ্ছে দুটি নম্বর, ২২১৪৩৫২৬ ও ১০৭০। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কাছে নবান্নের তরফে ইউক্রেনে আটকে থাকা সেখানকার বাসিন্দাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এবার হয়তো খানিকটা সহজ হবে প্রিয়জনদের ঘরে ফেরা, আশায় বুক বাঁধছে ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলার বাসিন্দাদের পরিবার।
বাংলা থেকে বহু মানুষ বিভিন্ন সময়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ইউক্রেনে (Ukraine)। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। কারও পড়াশোনা শেষ করে শীঘ্রই ফেরার কথা ছিল ঘরে। কেই আবার আশান্তির আঁচ পেয়ে ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের অনেকেই ইচ্ছে থাকলেও ফিরতে পারেননি। আটকে পড়েছেন সুদূর ইউক্রেনে। বারুদের গন্ধ, বোমের শব্দ, আলো নেই, খাবার নেই, চোখের সামনে যেন মৃত্যুকে দেখছেন তাঁরা। ঘরে বসে সন্তানদের চিন্তায় ব্যাকুল বাবা-মায়েরা।
[আরও পড়ুন:শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গরুপাচার কাণ্ডে ফের সিবিআইয়ের তলব এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল ]
তেমনই পূর্বস্থলীর বাসিন্দা এক যুবক পড়াশোনার জন্য গিয়েছিলেন ইউক্রেনে। যুদ্ধের জেরে সেখানে আটকে পড়েছেন তিনি। বর্তমানে কলেজে হস্টেলে আন্ডারগ্রাউন্ডে রয়েছেন। ক্রমাগত টের পাচ্ছেন বোমার শব্দ। শুধু খাবারের অভাব নয়, অক্সিজেনের অভাবও তৈরি হয়েছে। এদিকে চিন্তা গ্রাস করেছে পরিবারের। একই অবস্থা দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি পরিবারের। ইভানোতে আটকে পড়েছেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা নেহা খান। দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত রাতুড়িয়া গ্রামের ঝুমকি ও রুমকি গঙ্গোপাধ্যায় ইউক্রেনের খারকিব ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন গত ডিসেম্বরে। বর্তমানে সেখানেই আটকে পড়েছেন তাঁরা। জল নেই, আলো নেই, শীতের পোশাকও নেই, টাকা শেষ। দুই মেয়ের চিন্তায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে রুমকি-ঝুমকির মা-বাবার।
একই অবস্থা উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের রামকৃষ্ণপল্লির পাভেল দাসের। ইউক্রেনের একটি মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি। আটকে পড়েছেন সেখানেই। ছেলের ফেরার অপেক্ষায় দিনগুনছে পরিবার। এদিকে শিলিগুড়ির বাসিন্দা উস্মীত রায়ও আটকে পড়েছেন ইউক্রেনে। এছাড়াও আরও বহু পড়ুয়া আটকে রয়েছেন সেখানে। রাজ্য সরকারের কন্ট্রোল রুমের সাহায্যে সন্তান ও প্রিয়জনদের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে পরিবার।