shono
Advertisement

জোর ধাক্কা রাজ্যে, এপ্রিলেই কেন্দ্র কাটবে ৫০ হাজার কোটি টাকা

আর্থিক বোঝা রয়েছে জেনেও সরকারি কর্মচারী, পেনশনভোগীদের ১০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ The post জোর ধাক্কা রাজ্যে, এপ্রিলেই কেন্দ্র কাটবে ৫০ হাজার কোটি টাকা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:43 PM Jan 13, 2017Updated: 09:14 AM Jan 13, 2017

সন্দীপ চক্রবর্তী: চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে এবার বাধা পুরনো দেনা৷ নোট বাতিলের প্রভাবে রাজ্যের কোষাগারে এমনিতেই ‘ক্ষতি’ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা৷ এবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা৷ এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্যের কোষাগার থেকে দেনার কারণে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কেটে নেবে কেন্দ্র৷

Advertisement

(বিমান দুর্ঘটনায় বিজেপি মারতে চেয়েছিল, তোপ মমতার)

আর্থিক বছর শেষের আগেই তাই নয়া অর্থ-সংকট ভাবাচ্ছে নবান্নকে৷ বারবার কেন্দ্রের বৈষম্য ও পুরনো দেনার কারণে বেহাল অর্থ-দৈন্য নিয়ে কেন্দ্রের কাছে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে সরব হতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেন্দ্রের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের জের রাজ্যের বাজেটেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী যদিও উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা মানতে চাইছেন না৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এমন নাছোড় মনোভাবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ নবান্নের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের৷

নবান্ন সূত্রে খবর, বাম আমলের বেশ কিছু ঋণ ‘টার্ম ডিপোজিট’ হিসাবে এবার মেয়াদে পড়ছে বা ‘ম্যাচিওর’ করেছে৷ ফলে একধাক্কায় বেড়ে যাচ্ছে সুদ ও আসলের অংশ৷ তাই আর্থিক বছরের শুরুতেই ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণের আসলের একটি অংশ ও সুদ বাবদ জমা দিতে হবে৷ এখানে উল্লেখযোগ্য, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরেই কেন্দ্রকে ৭০ হাজার কোটি টাকা দিতে হতে পারে বলে হিসাব কষেছে রাজ্যের অর্থ দফতর৷ টাকা কেটে নেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ মমতার নেতৃত্বে সরকার গড়ার পর প্রথম বছরে পরিমাণ ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা৷ বস্তুত, পাঁচ বছরেই এক্ষেত্রে বৃদ্ধি প্রায় ১০৮ শতাংশ৷ লাফিয়ে লাফিয়ে যে গাণিতিক হারে সুদ বাড়ছে, তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে৷ আধিকারিকদের একটা বড় অংশের আশঙ্কা, কেন্দ্র সাহায্য না করলে রাজ্যের অর্থনীতি কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে বাধ্য৷

(দেশের স্বার্থে মোদিকে বাদ দিয়ে তৈরি হোক জাতীয় সরকার: মমতা)

অবিলম্বে দরকার, অন্তত চার বছরের ‘মোরাটোরিয়াম’৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে যা ভাবাটাই দুষ্কর৷ না পেলে, পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ তবে অমিত মিত্র মূলত কর সরলীকরণ ও বেশি সংখ্যক মানুষকে করের আওতায় আনার ফলে রাজস্ব আদায় ব্যাপক হারে বেড়েছে৷ সারা দেশে এ ব্যাপারে বাংলা নজির হয়েছে৷ রাজ্যের হিসাব, গত পাঁচ বছরে রাজস্ব আদায় প্রায় এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে৷ করের শেয়ার বেড়েছে৷ রাজস্ব ঘাটতি কমেছে৷ কিন্তু অর্থনীতিতে এই হার ধরে রাখা মুশকিল বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা৷

আর্থিক বোঝা-বৃদ্ধির বিষয়ে জেনেও জানুয়ারি থেকে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী, পেনশনভোগীদের দশ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর ফলে বছরে বাড়তি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বোঝা মাথায় চাপবে৷ নবান্ন সূত্রে খবর, অর্থ দফতরের কয়েকজন আধিকারিক এখনই দশ শতাংশ ডিএ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না৷ তবে কেন্দ্র যেভাবে নতুন নতুন বোঝা চাপাচ্ছে, তাতেই সমস্যা বাড়ছে৷ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ কমানো হয়েছে৷ কেন্দ্র বাদ দিয়েছে আরও বহু প্রকল্প৷ রাজ্য চাইলেই সেই সব প্রকল্প ‘কণ্টিনিউ’ করতে পারবে না৷ ডিসেম্বরের শেষ দিকে কেন্দ্রের অর্থসচিব জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খরচ চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন৷ বলা হয়েছিল, সরাসরি ট্রেজারি থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব৷ নোট বাতিলের প্রেক্ষিতে নভেম্বর মাসের ৯ তারিখ থেকে জানুয়ারি ৮ তারিখ পর্যন্ত দুই মাসে সম্ভাবনার তুলনায় বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আদায় কমেছে৷ টাকার নিরিখে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা৷ সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ও দেনার কারণেই এক বছরে রাজ্যের প্রাপ্য আদায় কম ও পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে হিসাব৷

(পেটিএম মারফত চিনকে তথ্য পাচার করছেন মোদি, তোপ মমতার)

The post জোর ধাক্কা রাজ্যে, এপ্রিলেই কেন্দ্র কাটবে ৫০ হাজার কোটি টাকা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement