নন্দন দত্ত, সিউড়ি: তিথিতে ষষ্ঠী, ২২ আষাঢ, শনিবার। অথচ প্রায় জনশূন্য তারাপীঠ মন্দির (Tarapith Temple)। এমনি সময় তারামায়ের দর্শনে কমপক্ষে ৬ ঘন্টা সময় লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু এদিন ভিড় নেই। কারণ এদিন ৮ জুলাই। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান,”সকালে কিছু ভিড় ছিল। তবে ভোট বলেই লোক নেই।” মন্দিরের সেবাইত পুলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আসলে বীরভূমের ভোট মানে বহিরাগতদের কাছে আতঙ্কের আবহ। তার প্রভাব পড়েছে মন্দিরে।” তারাপীঠ মন্দির চত্বরে বসে ২০ বছর ধরে ফুল মালার ব্যবসা করেন, মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, “ভোটের জন্য ভক্ত পর্যটক খুব কম।”
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রের লাশ’, পঞ্চায়েত ভোট হিংসা নিয়ে গর্জে উঠলেন ঋদ্ধি, পালটা শুনতে হল ‘বুদ্ধিজীবী’ খোঁটা]
বনগাঁ থেকে তারাপীঠে এসেছিলেন সহেলি বিট, নৈহাটি থেকে অভিজিত চন্দ্র। তাঁদের অভিজ্ঞতা,”মায়ের মন্দির এত ফাঁকা আমি দেখিনি। বহুবার মায়ের কাছে এসেছি।” অন্যদিকে, মন্দিরের ভিআইপি গেটের ডানদিকে তারাপীঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পান্ডাদের ভিড়। সে ভিড় তারাপীঠের মন্দিরের থেকে বেশি। হোটেল মালিকরা জানান, গোটা সপ্তাহটা ভিড় কম ভোটের জন্য। পঞ্চায়েত ভোট প্রমাণ করে দিল, মা যেমন শহরের, তেমনই গ্রামের মানুষও ঘিরে রাখে রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্রটিকে। আর তাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ফাঁকাই রইল তারা মায়ের মন্দির চত্বর।