সুমন করাতি, হুগলি: বাড়িতে ছেলে না থাকার সুযোগে, ঘুমন্ত বউমাকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য হুগলির ভদ্রেশ্বর পাল পাড়ায়। অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে পুত্রবধূকে কোপান তিনি। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম মিঠু মিত্র। বয়স আনুমানিক ৩০। ঘটনার সময় তরুণী নিজের ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। স্বামী নীলাংশু বাজারে গিয়েছেন। অভিযোগ, সেই সময় শ্বশুর হেমাংশু মিত্র বাড়ির সব দরজা বন্ধ করে তার ঘরে গিয়ে মিঠুকে কোপাতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে জলবন্দি জলপাইগুড়ি-কোচবিহার, নিকাশি ব্যবস্থায় ‘ক্ষুব্ধ’ বাসিন্দারা]
চিৎকার শুনে নাতনি জেগে উঠে বাধা দিলেও লাভ হয়নি। তার কান্নার শব্দ শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ঘরের দরজা ভেঙে মিঠুকে উদ্ধার করা হয়। খবর যায় ভদ্রেশ্বর (Bhadreswar) থানায়। পুলিশ হেমাংশুকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে।
এক প্রতিবেশী বলেন, " আগে থেকে দরজা বন্ধ করে বধূকে কোপানো হয়। বাচ্চা মেয়ের কন্না শুনে আমরা ছুটে আসি। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃক বলে জানায়। দোষীর কঠোরতম শাস্তি চাই।"
তবে কী কারণে খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, বউমার সঙ্গে শ্বশুরের বনিবনা না থাকলেও বিশেষ কোনও ঝামেলা ছিল না। আগের দিন রাতেও কোনও ঝামেলা তা বোঝা যায়নি। তার পরেও কেন খুন তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।