অর্ণব দাস, বারাসত: পানিহাটিতে (Panihati) মাটির নিচে সুড়ঙ্গ। আর সেই সুড়ঙ্গে আটকে জনা কুড়ি যুবক। বিহার পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ জানিয়েছিল এক যুবক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পানিহাটিতে হানা দিল বিহারের পুলিশ (Bihar Police)। জমি তছনছ করে চলল তল্লাশি। কিন্তু কোথায় সুড়ঙ্গ! খালি হাতেই ফিরতে হল পড়শি রাজ্যের পুলিশকে।
পানিহাটি থেকে বিহারে পালিয়েছিল এক যুবক। সেই রাজ্যের গাগৌরী থানায় অভিযোগ করেন ওই যুবক। জানান, পানিহাটির নরসিংহ দত্ত ঘাট রোড এলাকা বালক ব্রহ্মচারী আশ্রমের কাছে একটি জমির নিচে আটকে রাখা হয়েছে ২২ জন যুবককে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার বারাকপুরের গোয়েন্দা অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিহার পুলিশ। অভিযান চালায় ওই পরিত্যক্ত জমিতে। কিন্তু সেখানে জঙ্গল থাকায় অভিযান সম্পূর্ণ হয়নি।
[আরও পড়ুন: গোটা দেশের উপনির্বাচনে শূন্য পেল বিজেপি, পাঁচ আসনেই জয়ী বিরোধী শিবির]
জমির মালিক রাজু বিশ্বাসকে জমি পরিষ্কার করে রাখার নির্দেশ দেয় পুলিশ। সেই অনুযায়ী জমি সাফ করে রাখেন তিনি। এদিন সকালে ফের অভিযান চালায় পুলিশ। জমির বিভিন্ন জায়গায় খুঁড়ে ফেলে তাঁরা। কিন্তু কোথাও কিছু মেলেনি। উলটে ব্যাপক ক্ষতি হয় জমিটির।
[আরও পড়ুন: বালিগঞ্জে হারলেও বুদ্ধবাবুর ওয়ার্ডে জিতল সিপিএম, ভোট বাড়ায় খুশি কমরেডরা]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক বিহারের থানায় অভিযোগ করেছে। জানিয়েছেন, জমির নিচে একটি ঘরে সকলকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে জানলা, টিউবওয়েলও ছিল। তিনি নাকি রোজ সকালে সাইকেল নিয়ে বেরতেন। অথচ মাটি খুঁড়েও কিছু মেলেনি। ফলে কেন এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করলেন ওই যুবক, তা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে পানিহাটির ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা জুলি সরকার জানিয়েছেন, ”তদন্ত চলছে। অনুমানের কোনও জায়গা নেই। পুলিশ দেখুক পুরো বিষয়টা।”