নন্দন দত্ত, বীরভূম: দুষ্কৃতী হানা নয়, জমির কাদায় মুখ চেপে স্ত্রীকে খুন করে স্বামীই। মহম্মদবাজারে তরুণীর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সন্দীপ দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। ওইদিন মহম্মদবাজারে রাইপুর ক্যানালের পাশে উদ্ধার হয় সুচিত্রা বাগদি নামে এক মহিলার দেহ। এরপরই জানা যায়, সাত মাস আগে বীরভূমেরই (Birbhum) হিংলোর বাসিন্দা সন্দীপ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সন্দীপ। সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা বধূকে খুন করে চম্পট দিয়েছে বলে দাবি করে স্বামী। পুলিশ গিয়ে মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। দেখা যায় পাশে হাত, পা বাধা অবস্থায় সন্দীপ। পাশে পড়ে একটা দামি বাইক। সঙ্গে সঙ্গে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সন্দীপকে।
এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, তিনবছরের প্রেমের সম্পর্ক সুচিত্রা ও সন্দীপের। সাত মাস আগে বিয়ে করে তাঁরা। অভিযোগ, বিয়ের পর নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সুচিত্রা। তাতেই দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় সন্দীপ। সেই মতোই ছক কষে। পরিকল্পনা সফল হলেও শেষরক্ষা হল না।