নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মাত্র দু’টি ভোটে পরাজয়ের পর আদালতে যেতে চলেছে বিজেপি৷ অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় প্রার্থী-সহ পরিবারের চার সদস্যকে জেলবন্দি করার জেরে ভোটে হার শিকার করতে হয়েছে৷ বিজেপির ব্যাখ্যা, জেলবন্দি বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর পরিবার যদি নিজেদের ভোট দিতে পারতেন, তাহলে ফলাফল অন্য হতে পারত৷ শুক্রবার মহম্মদবাজারের কুলিয়ার বিজেপি প্রার্থীর জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর এমনই দাবি করলেন বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ মণ্ডল৷
বিজেপির অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁদের প্রার্থী-সহ পরিবারের চার সদস্যকে জেলবন্দি করা হয়েছিল৷ ফলে, জেলে থাকার কারণে এবার তাঁরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি৷ অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর পরিবার যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পেত, তাহলে আসনটিতে জয়ী হত বিজেপি৷
[হাস্যকৌতুকে অভিনয় করা উচিত দিলীপ ঘোষের: পার্থ]
এমনিতেই, মহম্মদবাজারের পুনর্নির্বাচন হওয়া বুথে বিজেপির সমর্থন বেড়েছে। মৌলপুরে বিজয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থী মিলন ঘোষ। কুলিয়াতে বিজেপির ঝুমা বাগদি হেরেছেন মাত্র দু’টি ভোটে। যদিও বিজেপির এই সমর্থন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘কিছু সাংগঠনিক ত্রুটি ছিল আমাদের৷ মানুষ তৈরি, আমরা তাঁদের কাছে পৌঁছাতে পারিনি৷’’
নির্বাচনের দিন বেলা দশটাতেই কুলিয়ার ১৮ নম্বর বুথে ব্যালট বাক্স লুঠ হয় বলে অভিযোগ৷ প্রিসাইডিং অফিসার অজ্ঞাতপরিচয় কিছু পুরুষ ও মহিলার নামে অভিযোগ দায়ের করেন৷ কিন্তু মহম্মদবাজারের পুলিশ তৃণমূল নেতাদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি প্রার্থী ঝুমা বাগদি-সহ তাঁর ননদ রূপা বাগদি, মা মৌসুমী বাগদি ও আরও এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। ফলে তাঁরা কেউ দ্বিতীয় দিনে পুনর্নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি৷ এমনকী দ্বিতীয় দিনের নির্বাচনের দিনে বিজেপির প্রার্থী বা তাঁদের প্রতিনিধিদেরও পুলিশ হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ৷
[ঔদ্ধত্যই কাল হল, হারলেন বলরামপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি]
কিন্তু গণনার দিনে দেখা গেল তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী টুম্পা বাগদি পেয়েছেন ৩২৬টি ভোট৷ বিপক্ষে জেলবন্দি ঝুমা বাগদি পেয়েছেন ৩২৪টি ভোট৷ এ নিয়ে দলীয় নেতাদের মতই আক্ষেপ ঝুমার স্বামী রামু বাগদি ও ছেলে বিশ্বজিতের৷ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বিশ্বজিত দাবি করে, ‘‘মা ও পিসি ভোট দিতে পারলে মা হারত না৷ সেক্ষেত্রে টাই হত৷ মা জয়ী হবে এটা আগে থেকে বুঝেই শাসক দল নিজেরা ভোট লুঠ করে মাকে মিথ্যা মামলায় জেলবন্দি করল৷’’ বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘শাসক দল জয়ী হওয়ার জন্য গণনা কেন্দ্রে ছাপ্পা দিচ্ছে। আমরা ফের দেখতে চাইব গণনার ক্ষেত্রে তেমন কোনও গরমিল হয়েছে কি না৷ তাই ঝুমার জামিনের পর আমরা আইনের পরামর্শ নিচ্ছি৷’’
The post মাত্র দুই ভোটে হেরেছে প্রার্থী, আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপির appeared first on Sangbad Pratidin.
