সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বাংলা ভাষায় হাতেখড়ি বিতর্ক নিয়ে এখনও চলছে জলঘোলা। শাসক-বিরোধী চলছে জোর দড়ি টানাটানি। তারই মাঝে এবার বাংলার রাজ্যপালকে বেলাগাম আক্রমণ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পালটা তাঁকে জবাব দিল তৃণমূল।
শুক্রবার খড়গপুরে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে জানে না কিছু, তারই হাতেখড়ি হয়, এটাই আমরা জানি। যিনি সব জেনে গিয়েছেন, তাঁর আবার হাতেখড়ি? এটা তো হয় না। আমাদের দেশের পদ্ধতি আছে। মা সরস্বতীর সামনে বাচ্চাদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়, কলম দেওয়া হয়। রাজ্যপাল তো বিদ্বান। এই ধরনের ড্রামা রাজ্যপালের শোভা পায় না। রাজ্যপাল অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছেন।”
[আরও পড়ুন: হাতেখড়ি বিতর্কের মাঝেই দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার রাজ্যপাল, জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা]
বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি আরও বলেন, “রাজ্যপালের পদ খুব গরিমাময়। সাংবিধানিক পদ। এসব ছোটখাটর ভিতর ওঁর না যাওয়া উচিত। ওঁর অনেক জ্ঞান। একসময় ব্যাংকের চাকরি পেয়ে বাংলায় এসেছিলেন। বাংলা কম বেশি জানেন। আমাদের দেশে বহু লোক বহু ভাষা জানেন। ভাষা শেখাটা আমাদের সিস্টেমের মধ্যেই আছে। সকলের শেখা উচিত। তাতে সংহতি বাড়ে। রাজ্যপালের পদের গরিমা যেন বজায় থাকে। আর রাজ্যপাল বিদ্বান, সচেতন। আমরা আশা করব আগামী দিনে সেরকম ব্যবহার হবে। যাতে কেউ প্রশ্ন করতে না পারে।”
দিলীপ ঘোষের এমন বেলাগাম আক্রমণ স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই মন্তব্যের জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পালটা আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “বিজেপির মত অনুযায়ী রাজ্যপালের গরিমা বজায় রাখতে হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে হয়। আসলে সমস্যা অন্য জায়গায়। জগদীপ ধনকড়কে যেভাবে পরিচালনা করত বিজেপি সেভাবে লা গণেশন কিংবা সিভি আনন্দ বোসকে পারছে না। তাই এসব কথা বলছে।” এদিকে, হাতেখড়ি বিতর্কের মাঝে দিল্লি সফরে সিভি আনন্দ বোস। উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা। কী আলোচনা হয় দু’জনের, সেদিকেই নজর সকলের। যদিও রাজ্যপালের দিল্লি সফর পুরোপুরি পূর্ব পরিকল্পিত বলেই দাবি তৃণমূলের।