সুমন করাতি, হুগলি: পুরনো শত্রুতার জেরে ব্যবসায়ীকে অপরহণ! পরে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে তাঁর স্ত্রীকে হুমকি ফোন। অভিযোগ পাওয়ার ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি হরিপাল থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিপাল থানায় অভিযোগ আসে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী শুকুর আলিকে দুপুর বেলায় অপহরণ করা হয়। সন্তানকে স্থানীয় ইন্দিরা মন্দির বিদ্যালয়ে দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলে ব্যবসায়ী বাড়ি ফিরে না আসায়, তাঁকে খুঁজতে স্কুলের সমানে যান তাঁর বাবা। তবে তিনি সেখানে শুকুর বাইক পড়ে থাকতে দেখেন। বাড়ি ফিরে এসে পরিবারকে সেই কথা জানান। এরপরই দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শুকুর স্ত্রীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে হুমকি আসে বলে অভিযোগ। তারপর রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশে অপহরণের অভিযোগ করে পরিবার।
এফআইআর রুজু করে তদন্তে নামেন মামলার আইও সুব্রত সাঁধু। সাহায্য নেওয়া হয় সাইবার সেলের। জানা যায়,অপহরণকারীরা শুকুর আলিকে পাণ্ডুয়া থানা এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। জানানো হয়, পাণ্ডুয়া থানার ওসিকে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ পাণ্ডুয়া থানা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। সেখান থেকেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই জয়েরবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে টাকা লেনদেনের কারণে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। হুগলি জেলা গ্ৰামীণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষানু রায় বলেন, "হরিপালের ব্যবসায়ী শুকুর আলিকে ব্যবসায়িক শত্রুতার লেনদেনের কারনে টাকা চেয়ে অপহরণ করা হয়েছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ব্যবসায়ীর স্ত্রীর অভিযোগ পেয়েই আমরা তদন্ত শুরু করি। খবর আসার ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে।" ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, অপহরণের পিছনে শুধু ব্যবসায়ী শত্রুতা নাকি অন্য কারণ রয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
