সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: তদন্তের স্বার্থে সন্দেশখালি গিয়ে আক্রান্ত ইডি আধিকারিকরা। পালিয়ে বেঁচেছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের হামলার বিরোধীতায় সরব হয়েছে বিজেপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদক্ষেপ চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদার। এদিকে দুঃখপ্রকাশ করলেও পালটা তদন্তকারীদের নিশানা করতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
সন্দেশখালি কাণ্ডে তোলপার গোটা রাজ্য। এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, সন্দেশখালিতে ইডি অফিসার ও জওয়ানরা আক্রান্ত। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালকে পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন তিনি।
এদিকে আক্রমণকারী অর্থাৎ তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের অনুগামীদের রোহিঙ্গা বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গোটা ঘটনাটি জানিয়ে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘টুম্পা সোনা’র পর এবার ‘ডিম পাউরুটি’, ব্রিগেড ভরাতে নয়া প্যারোডিতে ভরসা বাম যুবদের]
এদিকে সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে নিয়মিত প্ররোচনা চলছে। তৃণমূলকে বেইজ্জত করতে তল্লাশির নামে রোজ রোজ অশান্তির প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।” আমজনতার কাছে কুণাল ঘোষের আর্জি, যেন কেউ আইন নিজের হাতে না নেন। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি, বলেছেন, “কেন এখনও রাজ্যপাল ঘোষণা করছেন না যে, রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” উদ্বেগ প্রকাশ করে আরও বলেন, “যদি তদন্তকারীরাই মার খান, তাহলে তদন্ত হবে কী করে?”