shono
Advertisement

দিলীপের উত্তরসূরি ‘বাংলার মেয়ে’? BJP’র অন্দরে নয়া জল্পনা

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন দিলীপ ঘোষ।
Posted: 09:21 PM Jun 15, 2021Updated: 09:21 PM Jun 15, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের নির্বাচনে বাংলা নিজের মেয়ের উপরই ভরসা রেখেছে। এবার বিজেপির (BJP) অন্দরে কান পাতলেই নাকি শোনা যাচ্ছে একই স্লোগান। সভাপতি হিসেবে নাকি নিজের মেয়েকেই চাইছে বিজেপি। চলতি বছরেই রাজ্য সভাপতি হিসেবে শেষ হচ্ছে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ। তাঁর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম বলেই জানাচ্ছে দলীয় সূত্র। তবে এবার রাজ্যে দলের দায়িত্ব পাবেন কে? এই অস্থির সময় কে হাতে তুলে নেবেন গেরুয়া শিবিরের ব্যাটন? এটাই এখন লাখ টাকা প্রশ্ন।

Advertisement

২০১৫ সালে পদে বসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। ২০২০ সালে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। চলতি বছর রাজ্য সভাপতি পদের ৬ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। উপরন্তু দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব দেওয়া হতে পারে বলে দিল্লি সূত্রে খবর। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির অন্দরে কান পাতলে রাজ্য সভাপতি হিসেবে শোনা যাচ্ছে দুটো নাম। প্রথম জন হলেন হুগলির সাংসদ তথা লড়াকু নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। দ্বিতীয় জন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।

[আরও পড়ুন: বাচ্চাদের উপর জাইকোভ ডি Corona টিকা ট্রায়ালের প্রস্তুতি শুরু কলকাতায়]

দুই নেত্রীই দলের সংগঠন সামলে এসেছেন। দেবশ্রী চৌধুরী মন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত রাজ্যের সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন। লকেট সামলেছেন মহিলা মোর্চার দায়িত্ব। তিনি বর্তমানে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক। মাঠে নেমে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে দুই নেত্রীকেই। লড়াকু ভাবমূর্তির জন্যও পরিচিত দুজন। ফলে বাংলার মেয়ের মোকাবিলায় ২০২৪-এর আগে রাজ্য বিজেপির ব্যাটন আসতে পারে মহিলা নেত্রীর হাতেই।

তৃণমূলের চালক আসনে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার দলের যুবনেত্রী পদে বসেছেন সায়নী ঘোষ। ফলে বাংলার মহিলা মহলে তৃণমূলের অবাধ বিচরণ। তুলনামূলকভাবে খানিকটা পিছিয়ে বিজেপি। কারণ, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব একের পর এক নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করে গিয়েছেন। ২০২৪-এর আগে রাজ্যে সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল দরকার। উপরন্তু, আগামী লোকসভায় বাংলায় পদ্ম ফোটাতে গেলে প্রয়োজন লাগাতার আন্দোলনও। সেক্ষেত্রে দেবশ্রী চৌধুরী কিংবা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বেশ বেশি।

রাজনৈতিক মহল বলছে, ধারেভারে লকেটের তুলনায় সামান্য এগিয়ে দেবশ্রী। কারণ, তাঁর পরিবার আরএসএসের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। তিনি নিজেও সংঘের ‘ঘরের মেয়ে’। নিজে বিধানসভা ভোটে না লড়াই করলেও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রের ২টি আসন জিতেছে বিজেপি- রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ। উপনির্বাচনে হেরে যাওয়া কালিয়াগঞ্জ পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। উলটোদিকে বিধানসভা ভোটে লড়াই করেও পরাজিত হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি বিধানসভায়ও পদ্মফুল ফোটেনি। আর এই অঙ্কটাই তাঁর মার্কশিটে সামান্য লালকালির আঁচড় দিচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

[আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভরতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা, হাজার ব্যস্ততা সামলে মায়ের পাশেই ছেলে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement