শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানালেন, দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে একই দল করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এই ঘটনায় আরও বাড়ল তাঁর তৃণমূলে যোগের সম্ভাবনা।
বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন রায়গঞ্জের (Raiganj) বিধায়ক। নাম না করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ, দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বলেছিলেন, “এখানকার সাংসদ কখন আসেন, কখন যান আমরা কিছুই জানি না। এলাকার মানুষ প্রয়োজনে তাঁর দেখা পান না।” পরবর্তীতে দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন কৃষ্ণ কল্যাণী। সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, “জানানো প্রয়োজন তাই বলছি। যেখানে বিধায়কের সম্মান নেই, সেখান থেকে সরে যাওয়াই ভাল।”
[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ভাঙল অজয় নদের বাঁধ, হু হু গতিতে জল ঢুকছে বীরভূম, মঙ্গলকোটের বহু গ্রামে]
বিধায়কের এহেন দলবিরোধী মন্তব্য উসকে দিয়েছিল দলবদলের জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে আসরে নেমেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বলেছিলেন, “কৃষ্ণ কল্যাণী পার্টিতে নতুন এসেছেন। তাই সমস্ত নিয়মকানুন জানেন না। আস্তে আস্তে শিখে নেবেন।” যদিও তাতে থামেনি কানাঘুষো।
এই টানাপোড়েনের মাঝেই বৃহস্পতিবার কৃষ্ণ কল্যাণীকে শোকজ করে রাজ্য কমিটি। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বাসুদেব সরকার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠানো হয়েছে বিধায়ককে। যদিও কৃষ্ণ কল্যাণীর দাবি, তিনি কোনও আইনি নোটিস পাননি। দল শোকজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি ছাড়লেন কৃ্ষ্ণ কল্যাণী। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে রায়গঞ্জে গিয়েছেন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। দীর্ঘক্ষণ সেখানে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, ওই বৈঠকেই কৃষ্ণ কল্যাণীকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে বিজেপিতে। শুধু কর্মী নন, একাধিক তাবড় তাবড় নেতা দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।