সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: লোকসভা ভোটের পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছেই। তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। বেশিরভাগ জায়গায় ঘাসফুল শিবিরের কর্মীদের বাড়িতে হামলা, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। লাগাতার এ ধরনের ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে খেজুরিতে যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, শিউলি সাহা। শুক্রবার তাঁরা সেখানে পৌঁছে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে জনসভাও করার কথা তাঁদের।
বুধবার রাতেও রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খেজুরি (Khejuri)। খেজুরি ১ নং ব্লকের অন্তর্গত হেঁড়িয়া বাজারে আক্রান্ত হন তৃণমূল (TMC) কর্মী জ্যোতির্ময় বারিক। অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর পাশবিক অত্যাচার করে। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে। খবর পাওয়ামাত্র তাঁকে দেখতে যান কাঁথির (Kanthi) পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। তিনি জানান, ''আক্রান্ত কর্মীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিলাম ও ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত শুনলাম। বিজেপির এই নির্মম কর্মকাণ্ডকে ধিক্কার জানাই। বিজেপির (BJP) এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই চলছে, চলবে।''
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে উত্তম বারিক।
[আরও পড়ুন: বাইরে দাঁড়িয়ে সারি-সারি বুলডোজার, বিশ্বকাপের মাঝেই ভাঙছে ভারত-পাক ম্যাচের স্টেডিয়াম]
এদিকে ভোট মেটার পর থেকে লাগাতার খেজুরি-সহ জেলার নানা প্রান্তে তৃণমূল কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে খেজুরি যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার খেজুরি যাওয়ার কথা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), শিউলি সাহা এবং বীরবাহা হাঁসদার। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সেখানে জনসভা করবেন তৃণমূল নেতারা। চব্বিশের লোকসভা ভোটে কাঁথি থেকে খুব কম ভোটে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। আর তার পর থেকেই তৃণমূলের উপর আক্রমণ চলছে বলে অভিযোগ।