নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ছুটির দুপুরে বাড়ির মধ্যে প্রচণ্ড শব্দ। রবিবার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বীরভূমের সাঁইথিয়া বিনসে গ্রাম। মৃত্যু হল একজনের। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটিও। বিস্ফোরণের ঘটনা ঘিরে ছড়াল তীব্র আতঙ্ক। জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। এই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ওই সিভিকের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে। দাবি একটাই, তাঁদের তুমুল উত্তেজনা এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ি। ছবি: সুশান্ত দাস।
সাঁইথিয়ার বিনসে গ্রামের সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য। জানা গিয়েছে, তিনি সম্প্রতি গ্যাস বেলুনের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। প্রতিবেশী বিপত্তারণ বাগদিও তাঁর সঙ্গে বেলুনে গ্যাস ভরার কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে বিপত্তারণকে কাজের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন। বিপত্তারণ যন্ত্র দিয়ে বেলুনে গ্যাস ভরছিলেন, সেই যন্ত্র আচমকাই ফেটে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়ির দরজা, জানলা উড়ে গিয়েছে। দুর্গাপ্রসাদের সামনেই বিপত্তারণের দেহ খণ্ড খণ্ড হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে। তা দেখে সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান।
এদিকে প্রসাদ ভট্টাচার্যর বাড়িতে বিস্ফোরণের জেরে প্রতিবেশী বিপত্তারণ বাগদির মৃত্যুর খবর পেয়ে অন্যান্য প্রতিবেশীরা রীতিমতো খেপে ওঠেন সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর। তাঁরা জড়ো হয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালান। দাবি একটাই, বিপত্তারণের পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তাঁর স্ত্রী এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক ছেলে রয়েছে। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে তাঁরা অসহায়। দুর্গাপ্রসাদ তাঁদের দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ তাঁরা সেখান থেকে তুলবেন না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান প্রতিবেশীরা।