অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: মাকে খুনের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল বাঁকুড়ার জয়পুর থানার ফুটকরা গ্ৰামে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কেন এই হত্যাকাণ্ড? জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
মৃতার নাম মমতা মিদ্যা। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মানসিক ভারসাম্যহীন ছোটছেলে স্বরূপের কাছে ঘুমোতে গিয়েছিলেন তিনি। সকাল থেকেই ছোটছেলে স্বরূপের সঙ্গে অশান্তি চলছিল তাঁর। নতুন করে অশান্তি বাধার আশঙ্কায় স্বামী আশোক মমতাদেবীকে বারণও করেছিলেন ছেলের কাছে যেতে। কিন্তু মমতাদেবী স্বামীর কথা না শুনেই ছোটছেলের কাছে ঘুমোতে যান। সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ আচমকা পরিবারের সদস্যরা মমতাদেবীর আর্তনাদ শুনতে পান। মহিলার স্বামী, বড় ছেলে, ও বউমা দোতালায় ছুটে যান। দরজা খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। দেখেন মমতাদেবী রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে। তড়িঘড়ি তাঁকে জয়পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে খবর, স্বরূপের মানসিক সমস্যা রয়েছে। সে যা বলবে সেটাই করতে হবে, না হলে রেগে যাবে। তা নিয়ে বিস্তর অশান্তিও চলছিল। প্রতিবেশীরা বলেন, "আমরা কিছুই জানি না। সকালে জানতে পেরেছি। রাতে কী হয়েছে জানি না। স্বরূপ মানসিক ভারসাম্য ছিল কিনা, তাও জানি না। সকালে শুনলাম পুলিশ মৃত মমতাদেবীর ছোট ছেলে স্বরূপকে গ্রেপ্তার করেছে।"