অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাসের কুশমুড়ি গ্রামে। মৃত ওই দম্পতির নাম দীনবন্ধু কুণ্ডু ও লক্ষ্মী কুণ্ডু। আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও ঘটনা? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ইন্দাস থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দীনবন্ধু কুণ্ডুর বয়স ৮৬ বছর। লক্ষ্মীর বয়স ৭৬। দীনবন্ধু প্রাথমিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। ছেলে অসিত কুণ্ডু ও পুত্রবধূ সুস্মিতা ওই বাড়িতেই থাকেন। তাঁরা দু'জনেও পেশায় শিক্ষক বলে খবর। আজ, শনিবার সকালে ওই বৃদ্ধ দম্পতির ঘর ভিতর থেকে বন্ধ দেখা যায়। বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেলে দু'জনকে ডাকাডাকিও করা হয়। ভিতর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে শেষপর্যন্ত দরজা ভাঙা হয়। ভিতরে ঢুকতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
দেখা যায়, ঘরের ভিতর পড়ে রয়েছে বৃদ্ধা লক্ষ্মী কুণ্ডুর নিথর দেহ। ওই ঘরেই সিলিং থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায় বৃদ্ধের দেহ। সেই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় ইন্দাস থানার পুলিশকে। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে ওই বৃদ্ধ দম্পতির বিবাদ থানা-পুলিশ পর্যন্ত গিয়েছিল বলেও অভিযোগ। ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে সেভাবে পরিবারের সদস্যরা সময় দিতেন না! এই বিষয়ে ওই দম্পতির ছেলে অসিত কুণ্ডু জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে একটি পারিবারিক সমস্যা হয়েছিল। থানাতে অভিযোগও করা হয়েছিল। পরে থানাতেই ওই বিষয়টির মীমাংসা হয়। এখন পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল না।
তাহলে কী কারণে ওই ঘটনা ঘটল? দুই বৃদ্ধ দম্পতি কি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন? নাকি অন্য কোনও কারণ? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
