শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে বারুণী মেলা চলছে। মতুয়া সপ্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে ভিড় করেছেন পূণ্যস্থানের জন্য। জলপাইগুড়ির করলা নদীর বারুণী ঘাটেও পূণ্যস্থানের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেখানেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাবা-মায়ের সঙ্গে ওই ঘাটে গিয়েছিল আট বছরের ছোট্ট বালক বিবেক রায়। সকলের নজর এড়িয়ে নদীতে নেমে গিয়েছিল সে।

জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির গৌরী হাট সংলগ্ন বারুণী ঘাটে স্নানের আয়োজন হয়েছে। ঘাটে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে ওই স্নান ঘিরে। নদীতেও ঘাট থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব স্নানের জন্য বেড়া দেওয়া হয়েছে। সেসবের মধ্যেও ঘটে গেল দুর্ঘটনা। ওই পরিবার মোহিতনগরের পুলিশপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বাবা-মায়ের সঙ্গে এদিন স্নানের জন্য ঘাটে এসেছিল আট বছরের ছোট্ট বালক বিবেক রায়।
জানা গিয়েছে, ওই বালকের বাবা ঘাটে গিয়ে চুল-দাড়ি কাটাতে ব্যস্ত ছিলেন। তার মা ঘাটের কাছেই। মায়ের হাত ছাড়িয়ে ওই বালক নদীর জলে নেমে যায়। বেশ কিছুটা দূরেও চলে যায় সে। জল গভীর থাকায় মুহূর্তে তলিয়ে যায় সে। কিছু সময়ের মধ্যে মা ছেলের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু ঘাটের আশপাশে কোথাও ছেলেকে পাওয়া যায়নি। এরপরই নদীর ওই ঘেরা জায়গায় লোকজন নেমে তল্লাশি চালায়। কিছু সময় পরে উদ্ধার করা হয় বিবেককে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঘটনায় শোকস্তব্ধ বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ঘটনার আকস্মিকতায় অন্যান্যও হতবাক হয়েছেন। নদীর পাড়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবার-পরিজনরা। অত ভিড়ের মধ্যে ওই বালক জলে তলিয়ে গেল! কেউ কিছু বুঝতে পারলেন না কেন? সেই প্রশ্নও উঠেছে।