সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: আর মাসদুয়েক পরই সম্ভবত লোকসভা নির্বাচন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। সেখানে সেই পুরনো ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এগোচ্ছে বিজেপি। সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাংলায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে বলে রবিবার ফের দাবি করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। পালটা খোঁচা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নিশ্চিন্দপুরে বিজেপির বুথ কর্মী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “ভারতবর্ষে সিএএ লাগু হবে এই গ্যারান্টি দিয়ে গেলাম। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ লাগু হবে। সেটা আপনারা দেখবেন। এই গ্যারান্টি মঞ্চ থেকে দিয়ে যাচ্ছি।” শান্তনু ঠাকুরের এই দাবি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শুরু জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেতাকে খোঁচা দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “ভোট এলেই এভাবে ধর্মীয় মেরুকরণের কথা শুরু হয়। বিএসএফ শাহের হাতে। তিনি করলে করতে পারতেন। এখনও করতে পারেননি।”
[আরও পড়ুন: কাঁচরাপাড়ার গোডাউন লক্ষ্য করে পর পর তিনটি বোমা, বিস্ফোরণে হাত উড়ল দুজনের]
উল্লেখ্য, দিল্লিতে দ্বিতীয় মোদী সরকার গঠনের পরই ২০১৯ সালে এই নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন পাশ করানো হয়েছিল। কিন্তু মাঝে বেশ কয়েকটি বছর কেটে গেলেও, সেই আইন এখনও কার্যকর হয়নি। কেন আইন এখনও কার্যকর হচ্ছে না তা নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা যেমন হয়েছে, তেমনই আমজনতার মধ্যেও কৌতূহল তৈরি হয়েছে বিস্তর। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, শান্তনুর এই ‘গ্যারান্টি’ও সারবত্তাহীন। আসলে এটি ভোট আদায়ের কৌশল ছাড়া আর কিছু নয় বলেই মনে করছেন মতুয়াদের একাংশও। কারণ, এই প্রতিশ্রুতি প্রথমবার নয়। আগেও বহুবার এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পরে যদিও দেখা গিয়েছে প্রতিশ্রুতি বাস্তব রূপ পায়নি। এবারও ডেডলাইন সার বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।