shono
Advertisement
Chandrakona

নেই নিজস্ব জমি, তবুও আবাসের টাকা অ্যাকাউন্টে! শোরগোল চন্দ্রকোনায়

১১টি আদিবাসী পরিবারের মাথায় 'ছাদ দিতে' উদ্যোগ প্রশাসনের।
Published By: Subhankar PatraPosted: 01:41 PM Mar 23, 2025Updated: 01:41 PM Mar 23, 2025

শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: আবাস যোজানার প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কিন্তু নিজস্ব জমি না থাকায় বাড়ি তৈরি করতে পারছেন ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ৬টি আদিবাসী পরিবার। আরও ৫টি পরিবারের টাকা না ঢুকলেও একই কারণে বিপাকে পড়েছে তারা। পাট্টার আবেদন জানিয়েছে পরিবারগুলি। স্থানীয় প্রসানের তরফে পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

চন্দ্রকোনার ২ ব্লকের একটি গ্রামে বাস ১১টি আদিবাসী পরিবারের। তাঁদের প্রত্যেকের মাটির বাড়ি। আবাসের প্রথম সমীক্ষার পর তাঁদের নাম স্বাভাবিকভাবেই আবাসের তালিকায় ওঠে। কিন্তু তাঁরা বসাবাস করেন বনদপ্তরের জমিতে। এদিকে ৬টি পরিবারের কাছে প্রথম কিস্তির টাকাও চলে আসে। কিন্তু নিজেদের জমি না থাকায় তা তুলে বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিতে পারছেন না। প্রশাসনের তরফে তথ্য যাচাই করা হলে দেখা যায় ওই পরিবারগুলির নিজেদের নামে জমি নেই।বনদপ্তরের জমিতে তাঁরা বসাবাস করেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী বনদপ্তরের জমি সহজে পাট্টা দেওয়া যায় না। প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তাঁরা। বিডিওর কাছেও বিষয়টি জানানো হয়।

প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পাট্টা দেওয়া হবে। কিন্তু এত সহজেই তা পাওয়া যাবে না। একদম নিম্নস্তর থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর তা উচ্চস্তরে যাবে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর পাট্টা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তারপরই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা যাবে। বিডিও উৎপল পাইক বলেন, "এই রকম একটা সমস্যা হয়েছে। ওদের নিজস্ব জমি নেই। বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা যায়নি। তবে পাট্টা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।" প্রশাসন সূত্রে খবর, অনুমোদন সংক্রান্ত ফাইল মহকুমা স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এখন সব আইনি জটিলতা কাটিয়ে পাকা বাড়ি তৈরির আশায় আদিবাসী পরিবারগুলি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আবাস যোজানার প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
  • কিন্তু নিজস্ব জমি না থাকায় বাড়ি তৈরি করতে পারছেন ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোণা ২ ব্লকের ৬টি আদিবাসী পরিবার।
  • আরও ৫টি পরিবারের টাকা না ঢুকলেও একই কারণে বিপাকে পড়েছে। স্থানীয় প্রসানের তরফে পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
Advertisement