সুমন করাতি, হুগলি: ডাল, ভাত, খিচুড়ি বড়জোর ডিম বা সোয়াবিনের তরকারি মেলে মিড ডে মিলে। এই খেয়েই পেট ভরাতে হয় সরকারি স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের। রোজকার নিয়মের বাইরে বেরিয়ে বছর শেষের আগে স্বাদ বদল হুগলির স্কুলে। দেওয়া হল চাইনিজ খাবার। আর তা চেটে পুটে খেল খুদে পড়ুয়ারা।
পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় চাপাহাটি সিদ্ধেশ্বরী প্রাথমিক স্কুলে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় তিনশ পড়ুয়া রয়েছে। সোমবার মিড ডে মিলে ছোটদের দেওয়া হল চাউমিন। সবজি, ডিম দিয়ে তৈরি চাউমিন খুব মজা করে খেয়েছে ওই বাচ্চারা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মহামায়া বিশ্বাস বলেন, "স্কুলের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তবুও বাচ্চারা স্কুলে আসছে। এই সময় তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য মিড ডে মিলে নজর দেওয়া হয়েছে। ডাল ভাত সবজি অনেক সময় একঘেয়ে লাগে বাচ্চাদের। তখন তাদের মুখের স্বাদ পাল্টানোর জন্য বা তাদের পছন্দের খাবার নুডুলস, সয়াবিনের বিরিয়ানি এই সমস্ত রান্না করা হচ্ছে।" তিনি আরও জানান, মিড ডে মিলের রান্না করেন যারা কয়েকদিন ধরে পান্ডুয়ার সুলতানিয়া হাই মাদ্রাসায় তাঁদের 'রেকগনেশান অফ প্রিয়র লার্নিং'য়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল রান্না শেখানোর পাশাপাশি কীভাবে স্বাস্থ্যরক্ষা করতে হবে, রান্নার সময় আগুন থেকে কী করে দূরে থাকতে হবে সেগুলো তাদের জানানো হয়।
আগে ৫ টাকা ১৫ পয়সা মাথা পিছু দেওয়া হত মিড ডে মিলে। এখন সেটা বেড়ে ৬ টাকা ১৯ পয়সা হয়েছে। ডিমের দাম বেশি হলেও শীতের সবজি দিয়ে চাউমিন, বিরিয়ানি চেটেপুটে খাচ্ছে পড়ুয়ারা। পাণ্ডুয়ার বিডিও শ্রাবন্তী বিশ্বাস জানান, "তিনদিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবির করা হয় পাণ্ডুয়ায়। যারা মিড ডে মিলের কুক কাম হেলপার রয়েছে তাদের জন্য ছিল এই প্রশিক্ষণ শিবির। প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে কী করণীয়, রান্নার সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায়, এ সমস্ত শেখানো হয়েছে।"