শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: চোপড়া কাণ্ডে নয়া মোড়। ভিডিও ভাইরাল হওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন নির্যাতিতা। সেই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ ওই মহিলা। চোপড়া থানায় সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম এবং বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
গত ৩০ জুন, চোপড়ার জেসিবির ‘দাদাগিরি’র ভিডিও ভাইরাল হয়। দেখা গিয়েছে, মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছেন জেসিবি। চারিদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন মহিলা-সহ অসংখ্য মানুষজন। অথচ কেউ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। থামাননি কেউ। না। বরং যুগলকে পাশবিকভাবে মারধরের মর্মান্তিক দৃশ্য রীতিমতো তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। তার পর গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
[আরও পড়ুন: মারধরের ভিডিও দেখে ধরপাকড়, ভাঙড়ে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ২]
এই ভিডিও পোস্ট করেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি লেখেন, "সালিশি সভার নাম করে, অপরাধের বিচার করে শাস্তি দিচ্ছে তৃণমূলের পোষা গুন্ডা। তার ডাকনাম জেসিবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে এভাবেই বিচারব্যবস্থা ভেঙে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে চোপড়ায়।" এই ঘটনার জোরাল সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্যও। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নেমে জেসিবি-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার প্রতিবাদ করে গত ১ জুলাই চোপড়া থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। মহম্মদ সেলিম এবং অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। এই মামলার নথি সামনে আসার পরই রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল। মহিলার এফআইআরের নেপথ্যে রাজনৈতিক চাপ রয়েছে বলেই দাবি অমিত মালব্যর।