জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যের প্রতিবাদ! আর তা ঘিরে একেবারে রণক্ষেত্রের আকার নিল ঠাকুরবাড়ি। মমতাবালা ঠাকুরেরপন্থীদের বেধড়ক মারধর। ঘটনায় আহত একাধিক ব্যক্তি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। অল ইন্ডিয়া মতুয়া সংঘের দাবি, 'শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।' একেবারে মাটিতে ফেলে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।''
অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মন্তব্য, ''মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ক্যাম্প থেকে মতুয়া কার্ড, ধর্মীয় শংসাপত্র জোগাড় করেও নাম বাদ যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন? সেই উত্তর জানতে গেলে মারধর করা হল।'' ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
কারোর নাগরিকত্ব বাদ যাবে না, মন পেতে মতুয়াদের এমনই আশ্বাস দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই অন্য ছবি। দেখা গিয়েছে, মতুয়াগড়ে সবথেকে বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে খসড়া তালিকায়। যা নিয়ে আশঙ্কায় সেখানকার মানুষরা। নতুন করে উদ্বাস্তু হওয়ার আশঙ্কায় মতুয়ারা। যা নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ।
এর মধ্যেই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “ভোটার তালিকা থেকে ৫০ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমের নাম যদি বাদ যায়। সেখানে ১ লক্ষ আমাদের লোক যদি বাদ যায়, তাহলে আমাদের এটুকু সহ্য করতে হবে, সহ্য করে নেওয়া উচিত।” এরপর এর কারণ হিসাবে তাঁর যুক্তি, “ওদেশ থেকে এরা সকলে প্রাণ হাতে করে এসেছিল।'' খোদ বিজেপি নেতার এহেন বক্তব্য মতুয়াদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়েছে।
এরপরেই আজ বুধবার শান্তনু ঠাকরের বাড়ির সামনে অবস্থান, বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয় অল ইন্ডিয়া মতুয়া সংঘের তরফে। সেই মতো মিছিল করে মতুয়ারা এগোতেই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, একেবারে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও ঘটনার সময় বাড়িতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরেই একেবারে থমথমে পরিস্থিতি ঠাকুরবাড়িতে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
