shono
Advertisement
North Bengal

হেঁটেই নাগরাকাটার দুর্গত এলাকায় মমতা, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেতু মেরামতির আশ্বাস

নাগরাকাটায় মৃতদের পরিবারকে অর্থ ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 01:34 PM Oct 13, 2025Updated: 02:12 PM Oct 13, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হড়পা বানের প্রভাব এখনও কাটেনি। একসপ্তাহ কেটে গেলেও উত্তরবঙ্গের বহু এলাকার পথঘাট এখনও মেরামত হয়নি। যান চলাচলের যোগ্য নয় অনেক রাস্তাই। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গ পুনর্গঠনের কাজ দেখতে গিয়ে পায়ে হেঁটেই এলাকা ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দ্রুত মেরামতির আশ্বাস দিলেন। পাশাপাশি নাগরাকাটায় মৃতদের পরিবারকে অর্থ সাহায্য ও চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন তিনি।

Advertisement

নাগরাকাটা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী।

সোমবার দুপুর হতেই আলিপুরদুয়ারের হাসিমারার গেস্ট হাউস থেকে মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে পড়েন   এলাকা পরিদর্শনে। রাস্তার যতটুুকু গাড়ি যেতে পেরেছে, ততটুকুই তিনি গাড়ি করে যান। তারপরই নাগরাকাটায় খারাপ রাস্তা দেখে নেমে পড়েন। হেঁটেই এলাকা ঘুরে দেখেন। সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এসব রাস্তা ও সেতু মেরামতির কাজ করতে হবে।এরপর তিনি চলে যান একটি শিবিরে। সেখানে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন ৫ লক্ষ টাকার চেক ও হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র। 

হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ পুনর্গঠনের কাজ দেখতে চারদিনের মধ্যেই ফের সেখানে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার আলিপুরদুয়ার পৌঁছেই তিনি প্রশাসনিক বৈঠক সারেন। হাসিমারায় রাতে ছিলেন। সকালে সেখান থেকে নাগরাকাটা আসেন। এই পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতোই বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। খুঁটিয়ে দেখেন কোথায় এখনও অধিক সমস্যা রয়েছে। পায়ে হেঁটেই একাধিক গ্রামের ত্রাণশিবিরগুলি ঘোরেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান। 

এদিন  ফের  উত্তরবঙ্গের প্লাবনের জন্য ভুটানকে দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ''ভুটানের জলে আমাদের এখানে প্রাণহানি ঘটেছে। ওরাও ক্ষতিপূরণ দিক, আমরা সেটা চাই। পাশাপাশি ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন গড়ারও দাবি জানাচ্ছি আবার।''

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • নাগরাকাটার বিধ্বস্ত এলাকা পায়ে হেঁটে ঘুরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
  • আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এসব রাস্তা ও সেতু মেরামতির কাজ করতে হবে।
Advertisement