সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৪। শুক্রবারের তুলনায় সংক্রমণ শতাধিক বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮০৮ জন। রাজ্যের কোভিড (COVID-19) গ্রাফ অনুযায়ী, সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। এখানে একদিনেই স্রেফ মহামারীতে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬৮ জন।
রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৮৫ হাজর ৪৬৬। করোনার বলি মোট ১৯ হাজার ৪৫ জন। আর মহামারীর কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট ১৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৯০জন। শতকরা হিসেবে যা ৯৮.৩১ শতাংশ। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৭৩১, যা আগেরদিনের তুলনায় দেড়শোরও বেশি। কলকাতার পরই দৈনিক সংক্রমণে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৭ জন। এই দুই জেলা বাদ দিয়ে আর কোথাও দৈনিক সংক্রমণ শতাধিক নয়। করোনাযুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ১৫৯টি, যার মধ্যে ২.২৬ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ।
[আরও পড়ুন: ‘দলনেত্রীর পায়ে ধরে অনুরোধ করেছি’, তৃণমূলের ‘ঘর গোছানো’ নিয়ে মন্তব্য অভিষেকের]
এদিকে, করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে শনিবারও নবান্নে (Nabana) জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন (Containment Zone) তৈরি, রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ, মাস্ক পরার মতো বিধি মেনে চলার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এদিন সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। তারপরই পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। নাইট কারফিউ আরও কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ জারি হয়েছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এসিপি নিজে নজরদারি চালাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: Weather Update: বিদায় নিচ্ছে বর্ষা! দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজ, রাতে কমবে তাপমাত্রাও]
এই মুহূর্তে রাজ্যে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এর মধ্যে ৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৫০ জন পেয়েছেন করোনা টিকা (Corona vaccine)। তবে পাল্লা দিয়ে চলছে করোনার নমুনা পরীক্ষাও। এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব পরীক্ষা আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন। কেন্দ্রের তরফে RT-PCR টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ালে অর্থাৎ সঠিক সময় রোগীকে চিহ্নিত করতে পারলেই চিকিৎসা করা সম্ভব। এভাবেই সংক্রমণে রাশ টানতে হবে।