ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: তলানিতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। ধারাবাহিকভাবে নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। মহামারীর কবল থেকে বেরিয়ে দ্রুত সুস্থতার পথে এগোচ্ছে বাংলা। সেই কারণে কোভিডবিধি (COVID-19) অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে রাজ্যে। এবার চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও সেই নিয়মের বাঁধন আলগা হল। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এবার আর সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার জন্য পিপিই (PPE) কিট পরার দরকার নেই ডাক্তারদের। শুধুমাত্র কোভিড পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসার জন্য তা পরতে হবে। এছাড়া ENT বিশেষজ্ঞরাও পিপিই কিট পরবেন প্রয়োজনে।
বঙ্গে এই মুহূ্র্তে করোনা পজিটিভিটি রেট এক শতাংশেরও কম। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তা ০.৬৯ শতাংশ। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণ কমেছে, মৃত্যুর হারও নিম্নমুখী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা বলছে, চিকিৎসকদের পিপিই কিট পরার আর তেমন প্রয়োজন নেই। এছাড়া অস্ত্রোপচারের আগেও রোগীর কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কারণে চিকিৎসকদের নিয়মও শিথিল হয়ে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় বার সিঙ্গারের রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগে সরব বাবা-মা]
স্বাস্থ্যভবনের এক আধিকারিকের মতে, এই মুহূর্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে। এতদিন কড়া কোভিডবিধি জারি থাকার সুফল মিলেছে রাজ্যে। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব হয়েছে। তাই এই মুহূ্র্তে প্রথম সারির করোনা (Coronavirus) যোদ্ধাদের জন্যও নিয়মকানুন শিথিল করা হল। এই মুহূর্তে অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পিপিই কিট আর পরতে হবে না তাঁদের। তবে মাস্ক বাধ্যতামূলক এবং কোভিড পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে এলে পিপিই পরতে হবে।
[আরও পড়ুন: ফের ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার পাশেই দিল্লি, রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত রইল ভারত]
করোনা কালে যে কোনও রোগীর অস্ত্রোপচারের জন্য কোভিড পরীক্ষা আবশ্যক ছিল। OTতে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার আগে RT-PCR টেস্ট করানো হতো। কিন্তু সংক্রমণ একেবারে কমে যাওয়ায় এখন আর সেই পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর। তবে ENT বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা পদ্ধতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেহেতু সাধারণ চিকিৎসকদের চেয়ে একটু ভিন্ন, তাই তাঁদের পিপিই কিট পরা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমহলের একাংশ।