জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: খুনের মামলায় বেআইনিভাবে গ্রেপ্তারের অভিযোগ। গোবরডাঙা-সহ দুই থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত সঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা। এমনই নির্দেশ দিলেন বনগাঁ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ২ প্রদীপকুমার অধিকারী।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর এপ্রিল মাসে দাদাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাখালদাস হাই স্কুলের শিক্ষক মসিউর রহমান। গাইঘাটার জামদানি-মধুসূদনকাটি রোডের পাশে মিজানুরের ক্ষতবিক্ষত দেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশ উদ্ধার করে। ধৃত মসিউর মৃতর ভাই। বাড়ি বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত দক্ষিণ চাতরার বাসিন্দা। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠায়। বর্তমানে তাঁর বিচার চলছে। অভিযুক্তের আইনজীবীরা অভিযোগ তোলেন, এই গ্রেপ্তার আইন মেনে হয়নি। গ্রেপ্তারি নিয়ে ফৌজদারি আইনে বা সুপ্রিম কোর্টের যে গাইডলাইন আছে সেগুলির একটাও অনুসরণ করা হয়নি। এই ঘটনায় বারাসত ও বনগাঁ পুলিশ জেলার গোবরডাঙা ও গাইঘাটা থানার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে জরিমানাও করা হয়েছে।
অভিযুক্তর আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস বলেন, "শনিবার ওই খুনের মামলার রায়ে বিচারক জানান, গ্রেপ্তারির সময় ফৌজদারি আইন বা সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মানা হয়নি। তাছাড়া পুলিশ লকআপে অত্যাচারের অভিযোগও বিবেচনা করা হচ্ছে। একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে ধরে অত্যাচার করা হয়েছে, সে কারণেই বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।" এছাড়াও সেদিনের থানার সিসিটিভি ফুটেজ এবং জিডি খাতা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। তিনি আরও জানান, "পুলিশের মাথায় রাখা উচিত, চাইলেই যা খুশি তাই করা যায় না। আমার মক্কেলের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছে। পুলিশকেও আইন মেনে কাজ করতে হবে। শেষ কথা বলবে বিচারব্যবস্থা।"