সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে গিয়ে ফের বেফাঁস কথা বলে বসলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সাতসকালে বারাকপুরের গান্ধীঘাটে ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দিয়ে তাঁর মন্তব্য, “এমন রাজনীতি করুন, যাতে জেলে যেতে হয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি নিজেদের কর্মসূচির কথা বলে দলীয় কর্মীদের তাঁর বার্তা, জেলে না গেলে, নেতা হওয়া যায় না। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য ঘিরে ফের রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর তরজা।
আসন্ন পুরভোটকে সামনে রেখে জনসংযোগ বৃদ্ধিতে মন দিয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ‘চায়ে পে চর্চা’, অভিনন্দন যাত্রায় শামিল বিজেপি নেতারা। যার অগ্রভাগে অবশ্যই রাজ্য সভাপতি। তবে দিলীপ ঘোষ যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই কোনও না কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করে বসছেন।
[আরও পড়ুন: জলঙ্গি গুলি কাণ্ডে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতার ভাই-সহ ৩, এখনও থমথমে এলাকা]
বৃহস্পতিবার বারাকপুরের গান্ধীঘাটের কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি স্থানীয় দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে গিয়ে বললেন, “রাজনীতি ঠান্ডা হলে, তা বিশেষ কাজের হয় না। এমন কিছু করুন, যাতে জেলে যেতে পারেন। প্রশাসন যদি আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে, জেলে না ঢোকায়, তাহলে এমন কিছু করুন, যাতে জেলে যেতে পারেন। জেলে না গেলে বড় নেতা হওয়া যায় না। এই যে আমরা আন্দোলন করছি, মার খাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি – এটাই আমাদের সাফল্য। আপনারাও এরকম কাজ করুন।” তিনি আরও বলেন, “এখনও যাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করছেন না, তাঁরা বসে থাকুন। ২০২১ সালে আমরা ক্ষমতায় এলে, তখন সমর্থন দেবেন।
এর আগে দিলীপ ঘোষের মুখে এই মন্তব্যও শোনা গিয়েছিল, “আমরা ভদ্রলোকের রাজনীতি করতে আসিনি।” আর এবার দলের কর্মীদের পরামর্শ দিলেন, জেলে যাওয়ার রাজনীতি করতে। অর্থাৎ সর্বদাই তিনি বুঝিয়ে দেন, তাঁর রাজনীতিটা একটু আলাদাই। যেখানে প্রাধান্য পায় কুকথা, অপপ্রচার, বিতর্ক। আর তাকে হাতিয়ার করেই ভোট রাজনীতিতে বাজিমাত করতে চান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দলের কর্মীদের চাঙা করতেও তাঁর অস্ত্র ওই একই। এদিন তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা সমালোচনায় মুখর বারাকপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে জনসংযোগ কর্মসূচিতে ছিলেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
[আরও পড়ুন: ফের রায়গঞ্জে শুটআউট, ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুঠ প্রায় ৬ লক্ষ টাকা]
The post ‘এমন রাজনীতি করুন, যাতে জেলে যেতে হয়’, কর্মীদের চাঙ্গা করতে ফের বেফাঁস দিলীপ ঘোষ appeared first on Sangbad Pratidin.
