রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: সোমবার দিনভর খবরের শিরোনামে ছিলেন তিনি। তাঁর কীর্তি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তোলপাড় গোটা রাজ্য। প্রশাসন ব্যবস্থা নিতেই সপরিবারে আলিপুরদুয়ার ছাড়লেন বিতর্কিত জেলাশাসক নিখিল নির্মল। এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে, যে যুবককে মারধর করা নিয়ে এত কাণ্ড, তার বিরুদ্ধে নাকি জেলাশাসক বা তাঁর স্ত্রী থানায় কোনও অভিযোগই দায়ের করেননি।এফআইআর করেছিলেন জেলাশাসকের স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণণের কয়েকজন বন্ধু। সোমবার অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে আদালত।
[ স্ত্রীকে কটূক্তি, থানায় ঢুকে অভিযুক্তকে বেদম মার জেলাশাসকের]
২০১১ সালের আইএএস অফিসার নিখিল নির্মল। একসময়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় মহকুমা শাসক ছিলেন তিনি। গত বছরের জুন মাসে পদোন্নতি পেয়ে জেলাশাসক হন নিখিল। দায়িত্ব পান আলিপুরদুয়ার জেলারই। জেলাশাসক নিখিল নির্মলের স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণণ অন্ধপ্রদেশের এর্নাকুলামের মেয়ে। দুই সন্তানকে নিয়ে আলিপুরদুয়ারে স্বামীর সঙ্গে থাকেন তিনি। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে ফেসবুকে খোদ জেলাশাসকের স্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেন বিনোদ সরকার নামে এক যুবক। ফালাকাটা শহরের হরিনাথপুরের বাসিন্দা বিনোদ। রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করে ফালাকাটা থানার পুলিশ। রাতে সস্ত্রীক থানায় হাজির হন জেলাশাসক। থানায় ঢুকে অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এমনকী, জেলাশাসকের স্ত্রীও ওই যুবককে মেরেছেন বলে খবর। থানার ভিতরে এমন ঘটনায় পুলিশ নীবর ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে, নড়চড়ে বসে প্রশাসনও। নবান্ন সূত্রে খবর, দশদিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত জেলাশাসককে। নিখিল নির্মলের বদলে আলিপুরদুয়ার জেলার দায়িত্ব সামলাবেন অতিরিক্ত জেলাশাসক।
অফিস কিংবা বাংলো, সোমবার দুপুরের পর থেকে আর কোথাও দেখা যায়নি জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে। সূত্রের খবর, সপরিবারে আলিপুরদুয়ার ছেড়েছেন তিনি। এদিকে সকালে যখন জেলাশাসকের কীর্তিতে শোরগোল চলছে রাজ্যে, তখন তাঁর সমর্থনে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দেন স্ত্রী নন্দিনী। পোস্টে স্বামীকে ‘রিয়েল হিরো’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
The post সপরিবারে আলিপুরদুয়ার ছাড়লেন বিতর্কিত জেলাশাসক নিখিল নির্মল appeared first on Sangbad Pratidin.
