সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: পাঁচ মাস পরও অভয়ার সুবিচার অধরা। শিয়ালদহ আদালতে আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের মামলার বিচার চলছে এখনও। তদন্তকারীরা অভিযুক্তের ফাঁসির সাজার পক্ষে সওয়াল করেছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছর 'দ্বিতীয় অভয়া' কাণ্ড ঘটানোর হুমকিতে কাঠগড়ায় খোদ হাসপাতাল সুপার! শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামকে ইমেলে এনিয়ে দীর্ঘ অভিযোগ জানালেন।
সুপারের হুমকির বিরুদ্ধে ইমেলে অভিযোগ চিকিৎসকের। নিজস্ব ছবি।
ঘটনা অনেকটা এরকম। মাস খানেক আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়ে আসেন এক মহিলা চিকিৎসক। তিনি প্যাথোলজি বিভাগে কর্মরত। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে ডিউটি সংক্রান্ত বিষয়ে মতানৈক্য চলছিল শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারের। তাঁর অভিযোগ, প্যাথোলজি বিভাগের বদলে তাঁকে রোজ আউটডোর, ইনডোর ও এমারজেন্সি বিভাগে ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কোনও কোনও সংকটজনক রোগীর চিকিৎসা করতে সমস্যার মুখে পড়ছেন তিনি। সেকথা হাসপাতালের সুপারকে জানিয়েছিলেন। অনুরোধ করেছিলেন, এত ঘন ঘন এমারজেন্সিতে ডিউটি না দিয়ে প্যাথোলজি বিভাগেও কাজ করার সুযোগ করে দিতে। এনিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে সুপারের মতান্তর হয়। অভিযোগ, সেই বিবাদের সময় সুপার মহিলা চিকিৎসককে হুমকির সুরে জানান, তাঁর কথা না মানলে 'দ্বিতীয় অভয়া' কাণ্ড ঘটে যাবে।
তাতে আতঙ্কিত ওই চিকিৎসক। তিনি একাকী মা, এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন। এ ধরনের হুমকিতে ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক। আর তাই শান্তিপুর থানা ও স্বাস্থ্যদপ্তরকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ না হওয়ায় এবার ডক্টরস ফোরামকে ইমেল করেছেন বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে। তবে নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার দুপুরে মহিলা চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন। তার ভিত্তিতে সবটা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার অর্থাৎ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি।