নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পর পর দুদিন বীরভূমে অস্ত্রের চোরাচালানের হদিশ। বিক্রির আগেই অস্ত্র (Arms)-সহ ধরা পড়ল কারবারি। খয়রাশোলের পর এবার দুবরাজপুর। গ্রেপ্তারির পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র। ধৃতের নাম শেখ আইনুল। জেরায় সে স্বীকার করেছে, এক সহযোগীকে বন্দুক, পিস্তল, কার্তুজ বিক্রি করতে এসেছিল। তাকে বুধবার দুবরাজপুর আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ৯ টা নাগাদ দুবরাজপুর (Dubrajpur) থানার পুলিশ জাতীয় সড়কে অভিযান চালায়। রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH14)থেকে গড়গড়া গ্রামের দিকে যাওয়ার পথে রাস্তার উপরেই একজন ব্যক্তিকে আটক করে। তাকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার কাছ থেকে একটি দোনলা পাইপগান, ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়। এছাড়াও ব্যাগের মধ্যে ছিল একটি সেভেন এমএম পিস্তল, যার মধ্যে ৭ রাউন্ড গুলি ভর্তি করা ছিল। ধৃত শেখ আইনুলের বাড়ি খয়রাশোল থানার ইদিলপুর গ্রামে।
[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুরকে চালের বরাত দেওয়া বন্ধ, আদালতে কী জানাল রাজ্য?]
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আইনুল স্বীকার করেছে যে সহযোগীর কাছে এসব বন্দুক, পিস্তল এবং কার্তুজ বিক্রি করতে এসেছিল। ধৃত ব্যক্তি কোথা থেকে এই বন্দুক, পিস্তল এবং গুলি পেয়েছে এবং কে-ই বা তাঁর সহযোগী, জেরা করে তদন্ত শুরু করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। বুধবার ধৃতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে এবং পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবে।
[আরও পড়ুন: তেহরানে খতম হামাস প্রধান ইসমাইল! পিছনে কি ইজরায়েল? ঘনাচ্ছে রহস্য]
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুবরাজপুর থানার পুলিশ রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি সেতুর নিচে থলি ভর্তি বোমা (Bombs)উদ্ধার করে। তারও আগে গত ২৮ জুলাই খয়রাশোল থানার পুলিশ ক্রেতা সেজে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক অস্ত্র কারবারীকে গ্রেপ্তার (Arrest) করে। পরদিন এই অস্ত্র কারবারের মূল চক্রীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সকলের বাড়ি খয়রাশোল। তিনদিনের মাথায় দুটি থানা এলাকা থেকে অত্যাধুনিক মানের অস্ত্র এবং অস্ত্র কারবারিদের গ্রেপ্তারি বড়সড় সাফল্য বলে দাবি বীরভূম (Birbhum) জেলা পুলিশের।