shono
Advertisement
EC

GNLF-সহ বাংলার ১২ দলের স্বীকৃতি বাতিলের মুখে, এল নির্বাচন কমিশনের চিঠি

কেন দলের স্বীকৃত কেন বাতিল করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল নির্বাচন কমিশন।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 12:39 PM Aug 13, 2025Updated: 12:39 PM Aug 13, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: আটের দশক থেকে প্রায় টানা দু’দশক তারাই ছিল দার্জিলিং পাহাড়ের রাজনীতির শেষ কথা। তাদের জঙ্গি আন্দোলনের ঝাঁঝে কুঁকড়ে গিয়েছিল সেসময় বাংলাজুড়ে বাঘে-গরুকে এক ঘাটে জল খাওয়ানো সিপিএম পার্টি। প্রয়াত সুবাস ঘিসিংয়ের প্রতিষ্ঠিত সেই গোর্খা ন‌্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জিএনএলএফের রাজনৈতিক অস্তিত্ব এখন প্রশ্নের মুখে। একইভাবে প্রশ্নের মুখে উত্তরবঙ্গের আরেক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনমুখী দল অতুল রায় প্রতিষ্ঠিত কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি (কেপিপি)-র অস্তিত্বও। গত ছ’বছর নির্বাচনী কোনও কর্মকাণ্ডে অংশ না নেওয়ায় একদা রাজ‌্য রাজনীতিতে চর্চায় থাকা এই দুই দল-সহ রাজ্যের ১২টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দলের স্বীকৃত কেন বাতিল করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ‌্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-কে চিঠি দিয়ে এই ১২টি দল সম্পর্কে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, তালিকায় জিএনএলএফ এবং কেপিপি ছাড়াও রয়েছে ন্যাশনালিস্ট তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি, আম্বেদকরবাদী পার্টি, পার্বত্য প্রজাতান্ত্রিক পার্টি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মুসলিম লিগ, নির্যাতিতা সমাজ বিপ্লবী পার্ট-এর মতো নাম। দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকার কারণ জানতে এই দলগুলিকে নোটিস পাঠাতে বলেছে কমিশন। পাশাপাশি এবিষয়ে সোশ‌্যাল মিডিয়ায় প্রচার ছাড়াও সর্বভারতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিষয়টি জনমানসের দৃষ্টিগোচরে আনতেও চিঠিতে বলা হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট দলগুলির বক্তব‌্য জেনে এক মাসের মধ্যে সে বিষয়ে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।

কমিশন সূত্রে খবর, দেশের নথিভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় দলগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মুখ‌্য নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। এদিন এরকমই একটি চিঠি এসেছে রাজ্যের মুখ‌্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের কাছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব লবকুশ যাদবের পাঠানো সেই চিঠিতে ১২টি দলের নাম উল্লেখ করে তাদের স্বীকৃতি কেন বাতিল করা হবে না, তা নিয়ে ‘সুস্পষ্ট মতামত’ জানতে চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ‌্য, এর আগে জুন মাসে একইভাবে রাজ্যের আটটি রাজনৈতিক দল সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছিল কমিশন। যার মধ্যে ছিল বাংলার একদা শাসক বামফ্রন্টের দুই শরিক দল ডিএসপি (প্রবোধ চন্দ্র) এবং ইন্ডিয়ান পিপল’স ফরওয়ার্ড ব্লকের নাম। দেশের নথিভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় দলগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মুখ‌্য নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • প্রয়াত সুবাস ঘিসিংয়ের প্রতিষ্ঠিত সেই গোর্খা ন‌্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জিএনএলএফের রাজনৈতিক অস্তিত্ব এখন প্রশ্নের মুখে।
  • রাজ্যের ১২টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দলের স্বীকৃত কেন বাতিল করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল নির্বাচন কমিশন।
  • মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ‌্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-কে চিঠি দিয়ে এই ১২টি দল সম্পর্কে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Advertisement