স্টাফ রিপোর্টার: একদিকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলে বিপুল ছাড়, অন্যদিকে আবেদন করার চারদিনের মাথায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ। ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar)-এ চালু হওয়া বিদ্যুৎ পরিষেবায় কার্যত ‘কল্পতরু’ রাজ্য!
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম এলাকায় বিপুল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। এই বকেয়া আদায়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরে কার্যত ‘ওয়েভার স্কিম’ নিয়ে আসা হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যদি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকে তবে তা অর্ধেক টাকায় মিটিয়ে দিয়ে চাপমুক্ত হতে পারবেন গ্রাহক। কৃষি ও সেচে বাকি থাকা বিদ্যুৎ বিলেও দেওয়া হবে বিপুল ছাড়। বিদ্যুৎ কর্তাদের অনুমান, ছাড়ের সুযোগ নিতে গ্রাহকদের একটা বড় অংশ এই স্কিমে বকেয়া মেটানোর চেষ্টা করবেই। সেক্ষেত্রে সরকারি কোষাগার সমৃদ্ধ হবে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের]
জানা গিয়েছে, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াতেও কর্পোরেট স্টাইলেই হাঁটছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম। কশান মানি জমা দেওয়ার তিনদিনের মধ্যেই ‘ফিল্ড ইন্সপেকশন’। চতুর্থ দিনের মাথায় নতুন সংযোগ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ফর্ম থাকবে। সরকারি আধিকারিকদের সাহায্য নিয়ে তা পূরণ করে জমা দিতে হবে।
বিদ্যুৎ বিল না মেটাতে পারায় অনেকেরই সংযোগ ছিন্ন হয়। বিল মিটিয়ে এই সংযোগ পুনরায় চালু করা যাবে। তার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবিরে। কৃষিক্ষেত্রে সেচের কাজে বিদ্যুতের বহুল ব্যবহার রয়েছে। যন্ত্রনির্ভর সেচ যত বাড়ছে ততই বাড়ছে বিদ্যুতের ব্যবহার। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই বিদ্যুতের বিল বাকি রয়েছে বলে অভিযোগ। এই অচলাবস্থা কাটিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রাহকদের ভারমুক্ত করতে চায় রাজ্য।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগে শুভেন্দুর গড়ে কুণাল ঘোষকে বিশেষ দায়িত্ব দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব]
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে পঞ্চম দুয়ারে সরকার। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে শিবির। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আবেদনপত্রের নিষ্পত্তিও করে দিতে হবে বলে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য। চতুর্থ দফা পর্যন্ত পঁচিশরকম পরিষেবা বা প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবার আরও কয়েকটি পরিষেবা যুক্ত করা হয়েছে। জমির পাট্টার জন্য আবেদন করা যাবে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ বিল মেটানোর ব্যবস্থাও থাকছে।