সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুরা কখন যে কীসের জন্য বায়না করে, তা বলা দুষ্কর। এই খেলনা তো পর মুহূর্তেই চকলেটের জন্য বায়না। না দিলেই কান্নাকাটি, চিৎকার। তাই বহুক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাবা-মায়েরা এসব ঝক্কি থেকে বাঁচতে শিশুর প্রত্যেক আবদারেই রাজি হয়ে যায়। তবে বিশেষজ্ঞের মতে, সব আবদার খুদের মেটানো উচিত নয়। সে বুঝতে পারে চাইলে হয়তো পাবে। স্বাভাবিকভাবে তাতে শিশুর চাহিদা বাড়ে। জেদও বাড়ে উত্তরোত্তর। আর এই অভ্যাস বদলাতে চাইলে শিশুর চাহিদা মেটানোর আগে অবশ্যই এই জিনিসগুলি মাথায় রাখুন।
১. যে দ্রব্যটির জন্য শিশু বায়না করছে বা কান্নাকাটি করছে, সেটি কোনও প্রয়োজনে তার লাগবে কিনা, তা আগে ভেবে দেখুন। আদৌ ওই জিনিসটি তার প্রয়োজন কিনা, তা বোঝার চেষ্টা করুন।
২. যে জিনিসটি খুদে কিনতে চাইছে, সেটি কতদিন সে ব্যবহার করতে পারবে, তা কেনার আগে একবার খতিয়ে দেখুন। যদি দেখেন ওই জিনিসটি বাড়ির কোণে পড়ে থাকার মতো আবর্জনার চেহারা নেবে, তবে ভুলেও কিনবেন না।
৩. কোনও সামগ্রী খুদের পছন্দ হতেই পারে। তবে মনে রাখবেন, তার টাকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনও বোধ নেই। তাই যে জিনিসটি কেনার বায়না করছে, তার কত দাম তা আগে জেনে নিন। আপনার সামর্থ্যের মধ্যে হলে তবেই কিনুন। জোর করে জিনিসটি কেনার চেষ্টা করবেন না। তাতে আপনার সন্তান কোনওদিনই টাকার গুরুত্ব বুঝতে পারবে না।
৪. রোজ জিনিসপত্র চাইলেই কিনে দেবেন না। তাতে বাচ্চার অভ্যাস নষ্ট হয়। একটি নির্দিষ্ট নিয়মে বাঁধুন তাকে। মাসে একটি কিংবা দু'মাসে একবার তার কোনও আবদার পূরণের চেষ্টা করুন।
৫. কোনও জিনিস শিশুকে দেওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন। আদৌ আপনি যা করছেন, তা ভুল করছেন কিনা। হাজারও ভাবনাচিন্তার পর আবদার মেটান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুরা অনের বেশি নিজের মত প্রকাশ করার সুযোগ পায়। তার ফলে তাদের জেদ, দাবিও অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে ভুলেও সব আবদার রাখবেন না। দেখবেন তাতে খুদে বুঝতে পারবে সবসময় সব কিছু পাওয়া সম্ভব নয়।
