রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ছিলেন মাহুত। হাতির গতিবিধি, আচরণ ছিল হাতের তালুর মতো চেনা। কিন্তু হাত ভেঙে যাওয়ায় কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন হওয়াই কাল। হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক বনকর্মীর। মৃতের নাম রিঠে সুব্বা, বয়স ৫০ বছর। ঘটনা উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের (Jaldapara National Forest)। সবসময় হাতি নিয়ে থাকা বনকর্মীর এভাবে মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না। মনখারাপ বনদপ্তরের আধিকারিকদেরও।
জানা গিয়েছে, মৃত বনকর্মী রিঠে সুব্বা চাকরি জীবনের প্রথমে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাহুত ছিলেন। পরে একটি হাত ভেঙে যাওয়ায় সম্প্রতি সাধারণ বনকর্মীর কাজ করছিলেন তিনি। রবিবার সকালে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ব্যাংডাকি বিটের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে একপাল হাতি ঢুকে পড়ে। অন্যান্য বনকর্মীদের সঙ্গে হাতি (Elephant) তাড়াতে যান রিঠেও। বুনো হাতি ওই দলটিকে তাড়া করলে অন্যান্যরা পালিয়ে যান। কিন্তু পালাতে পারেননি রিঠে। তাঁকে ধরে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে হাতিটি। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: বঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহী চণ্ডীগড়ের শিল্পপতিরা! বাণিজ্য সম্মেলনে চাঁদের হাট]
বনকর্মীরা রিঠেকে তুলে নিয়ে প্রথমে ফালাকাটা ব্লক হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত বনকর্মীর স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। শালকুমারের জলদাপাড়া এলাকায় বাড়ি ওই মৃত বনকর্মীর। তাঁর ভাই গোবিন্দ বাহাদুর মোঙ্গর বলেন, “এভাবে দাদার মৃত্যু হবে, ভাবতেও পারিনি! ও সবসময় হাতি নিয়েই থাকত। সেই হাতিই ওঁর প্রাণ কেড়ে নিল। বনদপ্তর আমাদের পরিবারের পাশে রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: নজর ডায়মন্ড হারবার, অভিষেককে হারাতে শুভেন্দুর ‘তুরুপের তাস’ নওশাদ?]
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এডিএফ ও নবজিত দে বলেন, “এই মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক। বুনো হাতি তাড়া করলে অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও পালাতে পারেননি রিঠে। হাতি হামলা চালিয়ে তাঁকে মেরে দিয়েছে। আইন অনুযায়ী সব রকম ক্ষতিপূরণ পাবে মৃত বনকর্মীর পরিবার।”