সৈকত মাইতি, তমলুক: ফের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। প্রাণহানি না হলেও, জখম হয়েছেন একজন। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। ভর্তি হাসপাতালে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে গিয়েছে আস্ত বাড়ি। রবিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও থমথমে কোলাঘাটের পয়াগ গ্রাম। পুলিশ ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
রবিবার রাত। ঘড়ির কাঁটায় তখন ১০টা হবে। কোলাঘাটের পয়াগ গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ মাইতির বাড়ি থেকে আচমকা বীভৎস আওয়াজ পাওয়া যায়। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন আশেপাশের লোকজন। তাঁরা দেখেন দাউদাউ করে ওই বাড়িটিতে আগুন জ্বলছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশেও। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোটা বাড়ি। ভেঙে গিয়েছে বাড়িটির একাংশ। আশপাশের ৪-৫টি বাড়িও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনও বাড়ির জানলা ভেঙে গিয়েছে তো কোনও বাড়ির দরজা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বাজি কারখানা রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: কার্বাইন বনাম সার্ভিস রিভলবার! রানিগঞ্জে ডাকাতদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ ‘দাবাং’ আইসির]
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের খাদিকুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৯ জনের প্রাণহানি হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কোলাঘাটের পয়াগ গ্রামে বিস্ফোরণ। যা ফের গত বছরের ভয়াবহ স্মৃতিকে চাঙ্গা করেছে বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হয় বলেই দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। তা সত্ত্বেও কীভাবে ফের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এমন বেআইনি কারখানা গজিয়ে উঠল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উ
উঠছে। আপাতত গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। জোর তদন্ত চলছে বলেই জানানো হয়েছে।