অর্ণব আইচ: ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে জাল পাসপোর্ট চক্রের চাঁই সমরেশ বিশ্বাসের সঙ্গে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর সম্পর্ক। শুধু অ্যাকাউন্টে টাকা চালাচালি নয়, দুজনের মধ্যে রীতিমতো পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। দুজনের বাড়িতে দুজনের অবাধ যাতায়াত ছিল।
তদন্তকারীরা বলছে, জালিয়াতি চক্রের মাথায় সমরেশ বিশ্বাস বারাসতের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আবদুল হাইয়ের। এই বারাসতের বাড়িই ছিল তাঁদের কুকীর্তির অকুস্থল। তদন্তকারীদের দাবি, সেখানেই পাসপোর্ট জালিয়াতি নিয়ে আলোচনা থেকে নথি হস্তান্তর- সবটাই হয়েছে। জেরায় আবদুল কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে সমরেশের বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাঁর। সমরেশের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল এই আবদুলের।
শুধু পারিবারিক সম্পর্ক নয়। আবদুলের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাতেন সমরেশ। এই তথ্য প্রমাণ আগেই মিলেছিল। এবার সমরেশের বাড়িতে যাওয়া ও বৈঠকের তথ্যও এল পুলিশের হাতে। কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আবদুল। জাল ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫২টির এনকয়ারি অফিসার ছিলেন অভিযুক্ত। সেই সুবাদে চক্রের অনেককে চিনতেন। অভিযোগ, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পাসপোর্ট জালিয়াতিতে সাহায্য করতেন। পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার করেও নিতেন।