shono
Advertisement

নজিরবিহীন! সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত মৎস্যজীবীর চক্ষুদান করল পরিবার

সোমবার মৃত্যু হয় ওই মৎস্যজীবীর।
Posted: 11:11 AM Feb 02, 2022Updated: 11:51 AM Feb 02, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্ভবত ভারতবর্ষে প্রথম। সুন্দরবনে (Sundarban) প্রথমবার তো বটেই, বাঘের আক্রমণে মৃত মৎস্যজীবীর চক্ষুদান (Eye Donation) করল পরিবার। নজিরবিহীন এই কাজ করলেন বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মৎস্যজীবী শংকর সরদারের পরিবার।

Advertisement

ওই মৎস্যজীবীর বাড়ি সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ির কাঁটামারি এলাকায়। সোমবার সুন্দরবনের চিতুরি জঙ্গলে কাঁকড়া সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম হন তিনি। প্রথমে কুলতলি হাসপাতাল, তারপর সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ট্রমা কেয়ারে রেখে চলে মৎস্যজীবী শংকর সরদারের চিকিৎসা। কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টার পরেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁকে। মঙ্গলবার দুপুরে লড়াই থেমে যায় তাঁর। এরপরই তাঁর পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় শংকরের চোখ দান করা হবে।

[আরও পড়ুন: কীটনাশক মেশানো খাবার খাইয়ে ১১টি পথকুকুরকে ‘খুন’, গ্রেপ্তার দুই যুবক]

সুন্দরবনে বহু মৎস্যজীবীই বাঘের আক্রমণে আহত হয়ে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের পরিবার কখনও চক্ষুদানের কথা ভাবেননি। শংকরের পরিবারকে সেই কথা ভাবিয়েছে ‘জনগণের পাঠশালা’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার। তিনি কলকাতা পুলিশের কর্মী। নাম সমরেন্দ্র চক্রবর্তী। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়েই এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত শংকরের চোখ দান করতে সন্মত হন পরিবারের লোকজন। পরিবারের সম্মতিতে মৃত মৎস্যজীবী শংকরের চোখ গ্রহণ করে শঙ্কর নেত্রালয়ের সর্বানি পাল চৌধুরী, প্রশান্ত মণ্ডল ও সুজিত পাঁজা। শংকরের শ্বশুর রামপ্রসাদ বাগানীর হাতে চক্ষুদানের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।

‘জনগণের পাঠশালা’র তরফে সমরেন্দ্রবাবু বলেন, “বাঘের আক্রমণে মৃতের চক্ষুদান এই প্রথম। সম্ভবত ভারতবর্ষের কোথাও এরকম ঘটনার নজির নেই। পরিবারকে অনেক বোঝানোর পর তারা চক্ষুদানে সম্মত হয়। সুন্দরবনের ইতিহাসে এটা একটা নজির। শংকরের দু’টি চোখ থেকে দু’জন অন্ধ মানুষ কর্নিয়া পাবেন। তাঁদের অন্ধত্ব ঘুচবে।” 

[আরও পড়ুন: কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ব্যাহত জরুরি পরিষেবা]

এই বিষয়ে নিহত মৎস্যজীবীর শ্বশুর রামপ্রসাদ বাগানি বলেন, “আমার জামাইকে তো আর কখনও ফিরে পাব না। কিন্তু তার এই চক্ষুদানের মাধ্যমে যদি কোনও মানুষের উপকার হয়, তাই এই কাজ করলাম আমরা। সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত থাকলেও তাদেরও সমাজের প্রতি কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে সেটা প্রমাণ করলাম।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার