সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর আসলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরই অংশ। দুই দেশের মধ্যে যতই লড়াই হোক, তা পাকিস্তানেরই থাকবে।” জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর এমন মন্তব্যে সম্প্রতি বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সোমবার ফের সেই আগুনে ঘি ঢাললেন তিনি। আরও একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। মোদি সরকারের সমালোচনা করে তাঁর মন্তব্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) তো দূর অস্ত, শ্রীনগরের লালচকে তেরঙ্গা ওড়ানোর ক্ষমতাও নেই সরকারের।
[হাফিজের মুক্তিতে কংগ্রেসে উৎসব, গুজরাটে আক্রমণাত্মক মোদি]
সোমবার প্রয়াত কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ জি এল ডোগরার ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, “কেন্দ্র ও বিজেপি পিওকে-তে ভারতের পতাকা তোলার কথা বলছে। আমি বলছি, আগে শ্রীনগরের লালচকে তেরঙ্গা উড়িয়ে দেখাক তারা। সেটাই তাদের পক্ষে অসম্ভব, অথচ পিওকে নিয়ে মন্তব্য রাখছে।” এমন বিস্ফোরক মন্তব্যে ফের বিতর্ক দানা বাঁধছে। এ ধরনের মন্তব্যে ভারতীয়দের আবেগে আঘাত লাগছে না? এমন প্রশ্নকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে তাঁর পালটা প্রশ্ন, “ভারতীয় আবেগ বলতে কী বোঝাতে চাইছেন? আমি কি ভারতীয় নই? কার আবেগের কথা বলা হচ্ছে? সীমান্তের বাসিন্দাদের কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হয় সরকার জানে! যখন গুলি বর্ষণ শুরু হয় তখন এখানকার ছবিটা কেমন হয় কোনও ধারণা আছে?” নোট বাতিলের পর অনেকটাই শান্ত উপত্যকা। কেন্দ্রের এমন দাবিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর এমন মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং। “এমন মন্তব্য করে বিচ্ছিন্নবাদীদেরই মদত দিচ্ছেন ফারুক আবদুল্লাহ। তিনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন লালচক-সহ রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তেই তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়ে থাকে।” বলেন নির্মল সিং।
[‘হিন্দুদের উসকানি দিয়ে পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে বিজেপি’]
এর আগেও ভারত-চিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে ফারুক আবদুল্লাহ বলেছিলেন, চিনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো শক্তি বা ক্ষমতা কোনওটাই নেই ভারতের। নিজের বয়ানে ভারতের বিদেশনীতিকে কার্যত বিফল বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তাঁর মতে চিনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে আজ কমিউনিস্ট দেশটি পাকিস্তানকে সমর্থন জোগাত না। এবার পিওকে নিয়ে বিতর্ক ফের উসকে দিলেন তিনি।
The post PoK ছেড়ে আগে লালচকে তেরঙ্গা উড়িয়ে দেখাক, কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ফারুক আবদুল্লাহর appeared first on Sangbad Pratidin.
