জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে এই চক্রে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম সাগর দাস, বাচ্চু ঘোষ, আকাশ নাথ। ধৃতদের বাড়ি রানাঘাটে।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক যুবতীর থেকে ২২ হাজার টাকা নিয়েছিল। ওই মহিলা নিয়োগপত্র নিয়ে ব্যাংকে যোগ দিতে গিয়ে বুঝতে পারেন ভুয়ো চিঠি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অর্থাৎ তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপরই বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিক সুদীপ্ত দে-এর দ্বারস্থ হন তিনি। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে, চাকরির নাম করে এই প্রতারণা (Fake Job) চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। প্রথমে চক্রের সদস্যরা চাকরির জন্য যোগাযোগ করার জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন৷ চক্রের সদস্যরা নিজেদের বিভিন্ন ব্যাংক, কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত আছে বলে পরিচয় দেয়।
[আরও পড়ুন: বাংলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, একদিনে আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার, মৃত ৩]
বিশ্বাস করে অনেকেই সেই নম্বরে যোগাযোগ করেন। সেই সময় রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ প্রার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা জাল নিয়োগপত্র দিয়ে ধাপে ধাপে আরও টাকা নেয়। তাঁদের দেওয়া নিয়োগপত্রগুলি দেখে খালি চোখে বোঝা সম্ভব নয় সেগুলি নকল না আসল৷ পুলিশ প্রতারিত মহিলার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রানাঘাটের কয়েকটি এটিএম থেকে টাকা তুলেছে অভিযুক্তরা। সেই সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যজুড়ে এদের চক্র রয়েছে। চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ তাদের কাছে বহু চাকরিপ্রার্থী যুবক-যুবতীর নথি পাওয়া গিয়েছে। বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশে হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে।